আমাদের ভারত, পূর্ব মেদিনীপুর, ২১ আগস্ট: তমলুক শহরের কিছু এলাকা রূপনারায়ণের জলে প্লাবিত। বাড়ি ঘরের মধ্যে জল ঢুকে যাওয়ায় অনেকেরই রান্না করা সম্ভব হয়নি। তাই স্থানীয় কাউন্সিলরের উদ্যোগে পৌরসভার তরফ থেকে রান্না করা খাবার দেওয়া হয় প্লাবিত এলাকার মানুষদের। প্লাবিত এলাকায় খাবার নিতে আসা মানুষদের ভিড়ে মানা হয়নি কোনও সরকারি বিধি নিষেধ। শারীরিক দূরত্ব তো দূরের কথা, অনেকের মুখে মাস্কও ছিল না। ফলে করোনা সংক্রামিত হওয়ার সুযোগ তৈরি হল।

রূপনারায়ণের জলে প্লাবিত হয়েছে তমলুক শহরের ১৮ নম্বর ১৯ নম্বর এবং ১৪ নম্বর ওয়ার্ড। এলাকা ডুবে গিয়েছে জলে। বেশ কিছু মানুষের বাড়ির মধ্যে জল ঢুকে যাওয়ায় রান্না করা সম্ভব হয়নি। তাই এলাকার প্রাক্তন কাউন্সিলর এবং পৌরসভার উদ্যোগে ব্যবস্থা করা হয়েছে রান্না করা খাবার দেওয়ার। সেই খাওয়ার নিতে ভিড় জমে যায় প্লাবিত এলাকার মানুষদের। খাওয়ার নিতে লাইন ছিল লম্বা। কিন্তু লাইনে মানা হয়নি কোনও সরকারি বিধি নিষেধ। শারীরিক দূরত্ব দূরের কথা অনেকের মুখে ছিল না কোন মাস্ক। খাওয়ার বিতরণে তদারকি করেছেন প্রাক্তন চেয়ারম্যান ও বর্তমান পৌর প্রশাসক রবীন্দ্রনাথ সেন এবং এলাকার প্রাক্তন কাউন্সিলর তথা বর্তমানে কোঅর্ডিনেটর স্নিগ্ধা মিশ্র। তমলুক পৌর এলাকায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দিনকে দিন বাড়ছে তবু কেন এই অবহেলা সেটা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই।

রবীন্দ্রনাথ সেনকে এই ব্যাপারে বলা হলে তিনি জানান, সবাইকে বার বার বলা সত্বেও অনেকে মাস্ক পরেনি। আর অল্পসময়ের মধ্যে সবাইকে দিতে গিয়ে একটু ভিড় হয়েছে।
এই নিয়ে বিজেপির স্থানীয় নেতা সুরজিৎ বেরার বক্তব্য, খাবার দেওয়ার নাম করে তিনি নাম কুড়োতে বেরিয়েছেন। আমফান ঝড়ের ক্ষতিগ্রস্তদের তিনি সাহায্য করেননি। কিন্তু এই সময়ে খাবার দেওয়ার জন্য এলাকায় এসেছেন করোনা ছড়াতে।

