আমাদের ভারত, পূর্ব মেদিনীপুর, ২১ সেপ্টেম্বর: জাতীয় স্তরের সংবাদ মাধ্যমে রাজ্য পুলিশের মুখোশ খুলে দেব, যদি না তাড়াতাড়ি ময়নায় নিহত বিজেপি কর্মীর খুনিদের বিরুদ্ধে তারা ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। এই মামলা গড়াবে সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত, রাজ্য জুড়ে আন্দোলন হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিলেন বিজেপি নেত্রী ভারতী ঘোষ।
সোমবার ময়নার খিদিরপুর গ্রামে নিহত বিজেপি কর্মী দীপক মন্ডলের পরিবারকে সান্ত্বনা দিতে এসেছিলেন ভারতী ঘোষ। সেখানে এসে সবং এবং ময়না থানার পুলিশকে একপ্রকার হুমকি দিয়ে গেলেন তিনি। বিজেপি কর্মী দীপক মন্ডলের খুনের দোষীদের শাস্তি না হলে রাজ্যজুরে আন্দোলন ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকিও দিয়েছেন তিনি।
ভারতী ঘোষ অভিযোগ করেন, নিহত দীপক মন্ডল সহ বেশ কয়েকটি বিজেপি কর্মীর পরিবারকে কিছু দিন ধরে তৃণমূল সমর্থিত সবং ১১ নম্বর অঞ্চলের লালু ভুঁইয়া ও প্রসাদ কৃষ্ণ অধিকারী হুমকি দিচ্ছিল। এই ঘটনা জানিয়ে থানার অভিযোগ দায়ের করতে গেলেও পুলিশ অভিযোগ নেয়নি।” সবং-এর তৃণমূল নেতাদের নেতৃত্বেই এই হুমকির ঘটনা ঘটছিল বলে অভিযোগ করেন বিজেপি নেত্রী, অথচ এবিষয়ে পুলিশ একেবারে নিষ্ক্রিয় ছিল।
ভারতী ঘোষ মনে করিয়ে দেন, ২০১৬ সালে দুবরাজপুরে জয়দেব জানা যেমন নৃশংস ভাবে খুন হয়েছিলেন দীপক মন্ডলের ঘটনায় ঠিক একই রকম নৃশংসতা দেখা গেছে। তিনি স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, তাড়াতাড়ি দীপক মন্ডলের খুনিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে এই মামলা সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত তিনি নিয়ে যাবেন ও জাতীয় স্তরের সংবাদ মাধ্যমকে ব্যবহার করে সারা দেশের সামনে পুলিশকর্তাদের মুখোশ খুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করবেন। তাই জেল হাজতে যাওয়া আটকাতে তারা যেনো এই খুনের ঘটনার কিনারা করতে যা যা পদক্ষেপ করা দরকার তা যেনো অবিলম্বে করেন। না হলে এই ঘটনার প্রতিবাদে দিকে দিকে আন্দোলন ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকিও তিনি দিয়েছেন।
বিজেপি নেত্রী বলেছেন, “এই ভাবে অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না গ্রহন করে যদি ভেবে থাকেন তাদের বিধানসভা ভোটে ব্যবহার করবে রাজ্যের শাসক দল, তা বিজেপি কখনো হতে দেবে না।”
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, শনিবার রাতে ময়নার খিদিরপুর গ্রামের বিজেপি কর্মী দীপক মন্ডলকে বোমা মেরে হত্যা করা হয়। ফুটবল খেলা দেখে ফেরার পথে তাকে দুষ্কৃতীরা মারধর করে ও শেষ মৃত্যু নিশ্চিত করতে বোমা মারে। বোমার আঘাতে বিজেপি কর্মীর দেহ ছিন্নভিন্ন হয়ে যায়। রাত পর্যন্ত বাড়ি না ফেরায় পরিবারের লোকজন জন পুলিশের কাছে যায় এরপর পুলিশ গুরুতর অবস্থায় দীপক মন্ডলকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ঘটনায় বিজেপি রাজ্যের শাসক দলের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলে বলেছে, এই ঘটনা সম্পূর্ণ পরিকল্পিত।