খাদ্যদ্রব্যের ওপর জিএসটি বাতিলের দাবিতে শিলিগুড়িতে প্রতীকি অনশন

আমাদের ভারত, শিলিগুড়ি, ২ আগস্ট: খাদ্যদ্রব্যের ওপর জিএসটি বাতিলের দাবিতে প্রতীকি অনশনে সামিল হলো ফেডারেশন অফ চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ড্রাস্ট্রিস অফ ইস্টার্ন ইন্ডিয়া। মঙ্গলবার সকাল ১১টা নাগাদ তারা শিলিগুড়ির বিধানরোডের পাশে অটোস্ট্যান্ডে এই অনশনে বসেন। সংগঠনের পক্ষে সাধারণ সম্পাদক সুরজিত পাল বলেন, “কেন্দ্র সরকার মানুষকে মারার বুদ্ধি করেছে। এরপর তো অরন্ধন করেই দিন কাটাতে হবে। তাই আমাদের এই অনশন।”

কেন্দ্র সরকার প্যাকেটজাত খাদ্যদ্রব্যের ওপর জিএসটি লাগু করেছে। স্বাভাবিকভাবেই মূল্যবৃদ্ধি হয়েছে জিনিসপত্রের। আর তাতেই শহরের শিল্পপতি থেকে ব্যবসায়ীরা ক্ষোভে ফেটে পড়েছে। প্রতিবাদে তারা এদিন এই অনশন কর্মসূচি পালন করে। তাদের অভিযোগ, কেউ এর বিরুদ্ধে সরব হচ্ছে না তাই আমরা বাধ্য হয়ে এই সিদ্ধান্ত নিলাম। কারণ আমরা জানি সাধারণ মানুষকে কত অসুবিধার সম্মুখীন হতে হবে এই জিএসটির জন্য। শুধু তাই নয় ব্যবসায়ীদেরও নানান অসুবিধায় পড়তে হবে। প্রয়োজনে শুধু হিসেব নিকেশের জন্য এখন ছোটখাটো দোকানেও একজন বাড়তি কর্মচারী নিয়োগ করতে হবে। যার আয় কম সে কি করে তাকে বেতন দেবে। কেন্দ্র সরকারের এহেন সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেনি ব্যবসায়ীমহল। তাই তারা এদিন প্রতিকী অনশন করলেও আগামীতে বৃহত্তর আন্দোলনে নামার হুমকিও দিয়েছে।

এই সংগঠনের অধীনে ২৬৩টি ব্যবসায়ী সংগঠন রয়েছে। তারা সকলেই এদিনের অনশনকে সমর্থন জানিয়েছে। সাধারণ সম্পাদক সুরজিত পাল বলেন, “কেন্দ্র সরকার যেভাবে মানুষের ওপর করের বোঝা চাপাচ্ছে। তাতে মানুষকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিচ্ছে। আগামীতে মানুষকে অনাহারে দিন কাটাতে হবে। আমরা ব্যবসায়ী হয়েও এর প্রতিবাদ করছি কারণ আমরাও বিপাকে পড়েছি। কারণ যারা জিএসটির আওতায় পড়তেন না তাদেরও এখন এর অধীনে ব্যবসা করতে হবে। তার ফলে তাকে হিসেবনিকেশের জন্য অ্যাকাউন্টেন্ট রাখতে হবে। তাতে ব্যবসায়ীদেরও ক্ষতি হবে। তাই খাদ্যদ্রব্যের ওপর জিএসটি অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে নইলে আগামীতে বৃহত্তর আন্দোলনে যাবে।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *