সোমনাথ বরাট, আমাদের ভারত, বাকুঁড়া, ১০ ফেব্রুয়ারি: খাবারের পয়সা চাওয়াকে কেন্দ্র করে বচসায় ফুটন্ত তেলের কড়াইয়ে ফেলে দেওয়ায় দগ্ধ দোকানদারের জন্য উদ্বিগ্ন বিষ্ণুপু্রের ব্যবসায়ী মহল। প্রয়োজন হলে তার কলকাতায় চিকিৎসার চিন্তা ভাবনা শুরু
করেছেন মিষ্টি ব্যবসায়ীরা।
গত ৯ ফেব্রুয়ারি বিষ্ণুপুরের পোকাবাঁধ এলাকায় একটি মিষ্টির দোকানে খাবার খাওয়ার পর পয়সা চাইতে গেলে দোকানদারের সাথে বচসায় জড়িয়ে পড়ে শেখ বরসাৎ। সেই সময় সে দোকানদার কৃষ্ণ চন্দ্র দেকে ফুটন্ত তেলের কড়াইয়ে ফেলে দেয়। এই ঘটনায় কৃষ্ণবাবু ফুটন্ত তেলে পড়ে গুরুতর ভাবে পুড়ে যান। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে বিষ্ণুপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। এই ঘটনায় সারা বিষ্ণুপুরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশ ঘটনার এক ঘন্টার মধ্যেই আসামী শেখ বরসাৎকে গ্ৰেপ্তার করে। পুলিশের জেরায় সে দোষ স্বীকার করে। এই নৃশংস ঘটনায় সারা ব্যবসায়ী মহলে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
এদিকে আহত দোকানদারের শারীরিক অবস্থা নিয়ে উদ্বিগ্ন ব্যবসায়ীরা। এই ঘটনার খবর পেয়েই বিষ্ণুপুরে ছুটে আসেন পশ্চিমবঙ্গ মিষ্টান্ন ব্যবসায়ী সমিতির কর্মকর্তারা। বাকুঁড়া জেলা ছাড়াও মেদিনীপুর, কলকাতা, খড়্গপুর প্রভৃতি এলাকা থেকে সমিতির কর্মকর্তারা হাজির হন।বিষ্ণুপুরে পৌছান মিষ্টি উদ্যোগের কর্মকর্তারা।তারা হাসপাতালে গিয়ে কৃষ্ণবাবুর শারীরিক অবস্থার খোঁজ নেন, কথা বলেন হাসপাতালের সুপারের সাথে। পাশাপাশি পুলিশ আধিকারিকের কাছে দোষীর দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি জানান।
মিষ্টি উদ্যোগের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, প্রয়োজন হলে কৃষ্ণবাবুকে কলকাতায় নিয়ে গিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে। এই ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে পশ্চিমবঙ্গ মিষ্টান্ন ব্যবসায়ী সমিতির রাজ্য সহ সম্পাদক সুকুমার দে বলেন, খাবার খেয়ে পয়সা চাইতে গিয়ে দোকানদারের এই পরিণতি, এই নৃশংসতা কোনও ভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। তিনি বলেন, গত কয়েকদিন আগে বীরভূমের রেজিনগরেও এক মিষ্টির দোকানদারকে মারধর করা, দোকান ভাঙ্গচুর করা হয়। তার পরেই বিষ্ণুপুরে এই মর্মান্তিক ঘটনা। এর ফলে ব্যবসায়ীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। আশার কথা বিষ্ণুপুর পুলিশ ঘটনার কিছুক্ষণের মধ্যেই আসামীকে গ্ৰেপ্তার করতে সমর্থ হয়েছে। আমরা কৃষ্ণ বাবুর জন্য উদ্বিগ্ন।
বিষ্ণুপুর মিষ্টান্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের সম্পাদক অসিত দে বলেন, আমরা তার শারীরিক অবস্থার দিকে নজর রেখে চলেছি।তার পরিবারের সাথেও যোগাযোগ রেখে চলেছি।এই ঘটনার পর থেকে কৃষ্ণবাবুর দোকা ও বন্ধ।দোকান পুনরায় চালু করার চেষ্টা করছি।