আমাদের ভারত, ৪ মে: একাধিক বেআইনি কাজ করার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর অবিলম্বে উচিত হুমায়ুন কবীরকে মন্ত্রিত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া। চিঠি দিয়ে বুধবার পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিকে এই আর্জি জানাল ‘স্বরাজ ইন্ডিয়া’।
চিঠিতে লেখা হয়েছে, কারিগরি শিক্ষা বিভাগের রাজ্য মন্ত্রী (স্বাধীন দায়িত্ব) দায়িত্বে আছেন হুমায়ুন কবীর। মন্ত্রী হিসাবে ক্ষমতার অপব্যবহার সহ কবীরের বিরুদ্ধে একজন আদিবাসী যুবতীর আনা অভিযোগ অত্যন্ত গভীর ও গুরুতর প্রকৃতির এবং উদ্বেগজনক৷ পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে এই অভিযোগগুলির তদন্ত করতে হবে এবং তিনি মন্ত্রী থাকাকালীন এই ধরনের তদন্ত স্বাধীনভাবে করা সম্ভব নয়। স্বরাজ ইন্ডিয়া লোকায়ুক্ত বা অন্য কোনো স্বাধীন সংস্থার দ্বারা মন্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগের একটি সময়সীমাবদ্ধ পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত দাবি করছে যাতে সত্য উদঘাটিত এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হয়।”
স্বরাজ ইন্ডিয়ার সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভীক সাহা বলেন, “এটি মনে রাখা যেতে পারে যে একজন আদিবাসী যুবতী অভিযোগ করেছেন যে মন্ত্রী কবীর তাঁকে সরকারি চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাঁর বাসভবনে রেখেছিলেন। তাঁকে পরিচারিকা হিসাবে কাজ করিয়েছিলেন। তাঁকে “নিচু” জাতি বলে অপমানিত করেছেন। কটু কথা বলেছেন। এটি তফসিলি জাতি ও তফসিলি উপজাতি (অত্যাচার প্রতিরোধ) আইন, ১৯৮৯-এর অধীনে একটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ। হুমায়ুন কবীরের নেতৃত্বাধীন কারিগরি শিক্ষা বিভাগে নিয়োগ এবং পরবর্তীকালে যুবতীকে চাকরি থেকে অপসারণের প্রক্রিয়াটি নিয়ে প্রশ্ন এবং সরকারি ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ উঠে আসছে।
স্বরাজ ইন্ডিয়ার রাজ্য সম্পাদক শ্রী রাম বচ্চন বলেছেন, “আমাদের দাবিগুলি যদি অবিলম্বে পূরণ না করা হয়, স্বরাজ ইন্ডিয়া জনমত ও আন্দোলন গড়ে তুলবে এবং প্রয়োজনে বিষয়টিকে আদালতে নিয়ে যাবে। আমরা একজন মন্ত্রীকে একজন তফসিলি উপজাতির ওপর অত্যাচার করে অবাধে মুক্ত হয়ে যাওয়ার সুযোগ দেবো না। এই মন্ত্রীর বিরুদ্ধে ক্ষমতার ব্যাপক অপব্যবহারের অভিযোগ রয়েছে, যা দুর্নীতি ছাড়া আর কিছুই নয়। দুর্নীতির প্রশ্নে স্বরাজ ইন্ডিয়া নীরব দর্শক হয়ে থাকবে না।”