অমরজিৎ দে, ঝাড়গ্রাম, ২৯ জুলাই:
১৯১১ সালের ২৯শে জুলাই পরাধীন ভারতবর্ষের ক্লাব মোহনবাগান শিবদাস ভাদুড়ির নেতৃত্বে ব্রিটিশ দল ইষ্ট ইয়র্কশায়ার রেজিমেন্টকে খালি পায়ে ফুটবল খেলে পরাজিত করে। সেই দিন থেকেই পালিত হয়ে আসছে মোহনবাগান দিবস। আজ সেই মোহনবাগান দিবসে আর্থিক দিক থেকে পিছিয়ে পড়া ফুটবলার ও রেফারিদের হাতে জার্সি ও প্যান্ট তুলে দিল মোহনবাগান ফ্যানস ক্লাব ‘স্বপ্নের মোহনতরী’।
প্রসঙ্গত ২০১৭ সালে গোপীবল্লভপুর ১ নম্বর ব্লকের প্রথম তৈরি হয়েছিল মহিলা রেফারি এসোসিয়েশন, বর্তমানে তারা বেলিয়াবেড়াতে একটি ভাড়া বাড়ি থেকে কাজকর্ম চলে। সকাল সন্ধ্যা প্রাক্টিসের সাথে সাথে পড়াশোনাও চালাচ্ছেন কোচ শুভঙ্কর খামরীর তত্ত্বাবধানে। তিনি সকাল সন্ধ্যা তাদের প্রশিক্ষণ দেন। তাদের সম্পূর্ণ দেখভালও করেন তিনি। আজকে মোহনবাগান দিবস উপলক্ষে সেই ২৮জন ফুটবলার ও রেফারিদের হাতে জার্সি ও প্যান্ট তুলে দেওয়া হয় ‘স্বপ্নের মোহনতরী’ ফ্যানস ক্লাবের পক্ষ থেকে। উপস্থিত ছিলেন এই ক্লাবের গোপীবল্লভপুরের সদস্যরা।
আজ থেকে প্রায় ছয় বছর আগে ২০১৫ সালে পথ চলা শুরু করেছিল মোহনবাগান ফ্যানস ক্লাব ‘স্বপ্নের মোহনতরী’। প্রথম থেকেই জঙ্গলমহলের মানুষদের পাশের দাঁড়িয়েছে এই ফ্যানস ক্লাব। কখনো দুর্গাপূজার সময় প্রত্যন্ত গ্রামের স্কুল পড়ুয়াদের হাতে জামা কাপড় তুলে দিয়েছিল কখনো বা বেশ কিছু এলাকার বৃদ্ধাশ্রমে গিয়ে তাদের পাশে দাঁড়িয়েছে এই ক্লাব। মোহন বাগান ফ্যানস ক্লাব ‘স্বপ্নের মোহনতরী’র কর্নধার শান্তনু বেরা রাসবিহারী মহাপাত্ররা বলেন, আমরা জানতে পারি গোপীবল্লভপুর দু’নম্বর ব্লকের একটি ২৮ জন মেয়ে রেফারি জন্য প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। কিন্তু আর্থিক দিক দিয়ে পিছিয়ে পড়ার কারণে সমস্যায় পড়ছেন তারা। তাই আজকে মোহনবাগান দিবসের দিনেই তাদের হাতে তুলে দেওয়া জার্সি ও প্যান্ট ও মিষ্টি। প্রশিক্ষণ নেওয়া রাজশ্রী হাঁসদা বলেন, “জার্সি ও প্যান্ট পেয়ে আমরা খুবই খুশি। এনারা যে সম্মান আমাদের দিয়েছেন, আগামী দিনে তা আমরা রাখার চেষ্টা করব। এই জঙ্গলমহল থেকে রেফারি হয়ে জঙ্গলমহলের নাম উজ্জ্বল করব।