অশোক সেনগুপ্ত, আমাদের ভারত, ৩১ জানুয়ারি: মিড ডে মিলের জন্য বরাদ্দ পিএম পোষণের টাকা ব্যবহার করা হচ্ছে ভোটের কাজে— এমনই অভিযোগ করে কয়েক মাস আগে রাজ্যের স্কুল শিক্ষা দফতরকে চিঠি দিয়েছিল কেন্দ্র। বিদ্যালয় শিক্ষা দফতরের প্রধান সচিবকে লেখা চিঠিতে বলা হয়েছে, হোয়াটস অ্যাপ মারফত রাজ্য সরকারের তরফে পাঠানো নথিতে দেখা যাচ্ছে একটি ডরম্যান্ট অ্যাকাউন্ট নির্বাচনের জন্য টাকা ট্রান্সফারের কাজে ব্যবহৃত হয়েছে। এবার পশ্চিমবঙ্গে পিএম পোষণ তহবিলের অপব্যবহার রুখতে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানকে চিঠি দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
ওই চিঠি যুক্ত করে শুভেন্দুবাবু মঙ্গলবার এক্স হ্যাণ্ডেলে লিখেছেন, এ ব্যাপারে আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই। দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলার ক্যানিং ২ ব্লকের বিডিও এবং নির্বাহী অফিসার দ্বারা একটি আদেশ জারি করেছেন। সেটি এখানে যুক্ত করা হয়েছে৷ সেই আদেশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের তাদের প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মীদের উপস্থিতি নিবন্ধনের জন্য বায়ো-মেট্রিক পদ্ধতি চালু করতে এবং প্রধানমন্ত্রী পোষণ তহবিলের উপলব্ধ সুদ থেকে এর যন্ত্র বসানোর খরচ বহন করতে বলেছে।
যেহেতু কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রক ইতিমধ্যেই সিবিআইকে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে পিএম পোষন (মিড ডে মিল) প্রকল্পে ৪০০০ কোটি টাকা অপব্যবহারের তদন্ত করতে বলেছে, আমি মনে করি সিবিআই’য়েরও এই বিতর্কিত আদেশটি বিবেচনায় নেওয়া উচিত। কারণ এই আদেশও অপব্যবহারের একটি ধারা।
পশ্চিমবঙ্গ সরকার স্কুলের বাচ্চাদের পোষণ বা পুষ্টি ছাড়া অন্য কিছুতে প্রধানমন্ত্রী পোষন তহবিল ব্যয় করতে আগ্রহী বলে মনে হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, মিড ডে মিল প্রকল্পের নাম পরিবর্তিত হয়ে প্রধানমন্ত্রী পোষণ স্কিম হওয়ার পর এতে বরাদ্দ অর্থের ব্যবহার নিয়ে নানা বিতর্ক শুরু হয়। সারা রাজ্যজুড়ে স্কুলে স্কুলে পরিদর্শন করতে আসে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। ডিআই থেকে এসআই সকলকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, প্রতিটি স্কুলে বিশেষ নির্দেশিকা পাঠানোর জন্য। ৩০ জানুয়ারি থেকে ৬ ফেব্রুয়ারির এই পরিদর্শনের আগে আরও একদফায় রাজ্যে মিড ডে মিলের পরিস্থিতি সরেজমিন দেখতে নির্দেশ দেওয়া হয় সহকারি (এআই) ও অবর বিদ্যালয় পরিদর্শকদের (এসআইএস)।