আমাদের ভারত, ২ আগস্ট: “খোদ কলকাতার বুকে প্রকাশ্য রাস্তায় প্রতিবাদী যুবক দেবাশীষের উপর হামলা চালালো রোহিঙ্গা মুসলমান।” এই অভিযোগ করে পুলিশি নিস্ক্রিয়তার অভিযোগ করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
শনিবার শুভেন্দুবাবু এক্সবার্তায় লিখেছেন, “দেবাশীষ বিশ্বাস বিজেপির সক্রিয় কার্যকর্তা। তার বাড়ি বেহালা পূর্ব মণ্ডলের ১২৪ নং ওয়ার্ডে। তিনি গতকাল কয়েকজন রোহিঙ্গা মুসলমানকে তাঁর বাড়ির সামনে প্রকাশ্যে রাস্তার উপর গাঁজা সেবন করতে দেখে তার প্রতিবাদ করেন।
এর পরেই তাদের একজন দেবাশীষের উপর ছুরি, কাঁচি নিয়ে আক্রমণ করে। ফলে দেবাশীষ গুরুতর আহত হন, তাঁর মুখমন্ডল সহ শরীরের বিভিন্ন অংশে গভীর ক্ষতের সৃষ্টি হয়। আহত দেবাশীষকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাঁর শরীরে চারটি সেলাই পড়ে।
ঘটনার পর ঠাকুরপুকুর থানায় দেবাশীষ অভিযোগ দায়ের করেন। শোনা যাচ্ছে যে পুলিশ প্রধান অভিযুক্তকে ‘নিরাপত্তার কারণে’ সরিয়ে দিয়েছে। রাজ্যের রাজধানী খোদ কলকাতার বুকে এখন সমাজবিরোধীদের এই ধরনের দৌরাত্ম চলছে, কারণ রাজ্যে আইন শৃঙ্খলা নেই।
রাজ্য পুলিশের এখন কাজ হলো দলদাসত্ব করা, আর তৃণমূলের ছোটো- বড়ো- মাঝারি নেতাদের তাঁবেদারি করা। তাছাড়াও একটি বিশেষ সম্প্রদায়ের জন্য রাজ্যে আইন বলবৎ নয়। তাদের বিরুদ্ধে কোনরকম পদক্ষেপ করার এখতিয়ার পুলিশের নেই, কারণ তারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভোট ব্যাঙ্ক।
এরা প্রকাশ্য রাস্তায় আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে যা ইচ্ছে তাই করতে পারে, যার প্রতিবাদ করলে প্রতিবাদীর উপর প্রাণঘাতী হামলা করতেও এদের হাত কাঁপে না। এরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য সাধনের জন্য তার দ্বারাই এই রাজ্যে লালিত পালিত।
আশা করবো দুর্গাপুরের ঘটনায় যে সক্রিয়তা চোখে পড়ছে পুলিশের, এ ক্ষেত্রেও তাই হবে। দু চোখ খোলা রেখে কাজ করুন।”