আমাদের ভারত, ২৫ এপ্রিল: “মমতার পুলিশ বিশ্বের দরবারে প্রতিদিন অনন্য নজির রেখে চলেছে। এবার লাঠির আঘাত নেমে এলো তফসিলিদের ওপর।” এক্সবার্তায় এই মন্তব্যের পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হুঁশিয়ারি দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
শুভেন্দুবাবু লিখেছেন, “গত পরশু পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালে নন্দীগ্রামের মত চারজন জেহাদিদের দ্বারা নন্দী মহারাজকে চুরির আপ্রাণ চেষ্টা হয়। কিন্তু এলাকার সচেতন সনাতনীদের দ্বারা সেই চেষ্টা বিফল হলেও জেহাদিরা ষাঁড়টির লেজ কেটে পালাতে সক্ষম হয়।
এই নিয়ে আন্দোলন শুরু করেন স্থানীয়রা। গতকাল তিন চারটে গ্রামের সনাতনীরা একত্রিত হয়ে আলোচনার জন্য কাজির হাট বল গ্রাউন্ডে জমায়েত শুরু করলে মমতার পুলিশের আসল রূপ বেরিয়ে আসে।
যে মমতার পুলিশকে মুর্শিদাবাদে হিন্দুদের উপর আক্রমণ হলে খুঁজে পাওয়া যায় না, যে মমতার পুলিশ জেহাদীদের দেখে জঙ্গিপুরে দোকানের সাটারের ভেতর ঢুকে যায়, সেই মমতার পুলিশের নখ দাঁত বাইরে বেরিয়ে আসে সনাতনীদের শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের সময়।
অত্যাচারের সমস্ত সীমা ছাড়িয়ে ছোট্ট বাচ্চাদের মাথা ফাটিয়ে দেয় মমতার পুলিশ। স্থানীয় গ্রামবাসীরা যাঁরা বেশির ভাগই তফসিলি জনজাতি গোষ্ঠীর, তাদের ওপর লাঠিচার্জ করার সময় মাথায় লাঠির বাড়ি মারা থেকে থেকে শুরু করে কোনো কিছুই বাকি রাখেনি।
রোহিত দলুই নামের একটি ছোট বাচ্চার মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে এবং নির্বিচারে মহিলাদেরকেও পুরুষ পুলিশ মারধর করে। প্রায় ১০ থেকে ১২জন আহত হয়েছে। আমি ঘাটালে নির্লজ্জ মমতার পুলিশের বর্বরোচিত আক্রমণের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এবং জেহাদিদের নন্দী মহারাজের ওপর কালো দৃষ্টির বিষয়ে স্পষ্ট হুঁশিয়ারি দিয়ে বলতে চাই- “তোমারে বধিবে যে, গকুলে বাড়িছে সে।”

