আমাদের ভারত, ২৭ জুলাই: জম্মু-কাশ্মীরে জঙ্গি বিরোধী অভিযান চালিয়ে তিন জঙ্গিকে খতম করেছে ভারতীয় সেনা। জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ এবং সিআরপিএফের যৌথ বাহিনী অপারেশন মহাদেব নামে এই অভিযানে পেহেলগাঁও হামলার মূলচক্রী হিসেবে সন্দেহভাজন ৩ জঙ্গিকে খতম করা হয়েছে। গভীর জঙ্গল থেকে সন্দেহজনক রেডিও যোগাযোগ ধরা পড়েছিল, তাকে লক্ষ্য করেই এই অভিযান চালাচ্ছিল চিনার কর্পস।
রবিবার দুপুর সাড়ে বারোটা নাগাদ চিনার কোর জানা লিদওয়াসে জঙ্গিদের সঙ্গে গুলির সংঘর্ষ শুরু হয়। এক ঘণ্টার মধ্যে ড্রোনের ফুটেজে তিনটি মৃতদেহ দেখা যায়। যা নিশ্চিত করে তিনজন জঙ্গিকে খতম করা হয়েছে।
গত দু’দিন ধরে অভিযান চলছিল। দাচিগাঁও অরণ্য এলাকার গভীর জঙ্গল থেকে সন্দেহজনক রেডিও যোগাযোগ ধরা পড়েছিল। পাশাপাশি স্থানীয় কিছু চরও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছিল, যা তদন্তকারী বাহিনীকে জঙ্গিদের অবস্থান চিহ্নিত করতে সাহায্য করে।
প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, নিহত জঙ্গীরা লস্কর- ই- তৈবার জঙ্গি গোষ্ঠীর সদস্য ছিল। এই গোষ্ঠী এপ্রিল মাসে পেহেলগাঁও হামলার দায় স্বীকার করেছিল। যেখানে ২৬ জন নিরীহ পর্যটক নিহত হন।
কিন্তু কিভাবে নিকেশ করা হল এই জঙ্গিদের? সূত্রের খবর, দাচিগাঁও অঞ্চলে সন্দেহজনক রেডিও সিগন্যাল ধরা পড়ে। এই সূত্র ধরে গত দু’দিন ধরে সেনার একাধিক টিম ওই অঞ্চলে টহল ও তল্লাশি চালায়। রবিবার সকাল সাড়ে এগারোটা নাগাদ যৌথ বাহিনীর একটি দল তিন জঙ্গিকে চিহ্নিত করে তাৎক্ষণিকভাবে অভিযানে নেমে তাদের খতম করে।
নিহত তিনজন একটি ঘন জঙ্গলে গাছের নিচে মাটির তৈরি অস্থায়ী বাঙ্কারে লুকিয়ে ছিল। দীর্ঘ ১৪ দিন ধরে এই জঙ্গি গোষ্ঠীর গতিবিধির ওপর নজর রাখছিল সেনা। এটি ছিল লস্কর ও জৈশ- ই- মহম্মদের একটি যৌথ মডিউল।
সূত্রের মতে, এরা ২২ এপ্রিল পেহেলগামের ২৬ জন নিরীহ মানুষের হত্যার সঙ্গে যুক্ত। এই হামলার পরে ভারত অপারেশন সিঁদুর শুরু করে ও পাকিস্তান ও পিওকেতে। তাতে ১০০-র বেশি জঙ্গি মারা যায়।
কিন্তু পেহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িতদের খোঁজ তখনও চলছিল। এবার অপারেশন মহাদেব করে তিন জঙ্গিকে খতম করা গেল। যদিও তাদের সম্পূর্ণ পরিচয় এখনো জানা যায়নি, কারণ অভিযান এখনো শেষ হয়নি। জঙ্গিদের বড় গোষ্ঠীর অন্য সদস্যরা জঙ্গলে ছড়িয়ে থাকতে পারে। তাদের সন্ধানে তল্লাশি চলছে।