আমাদের ভারত, ২৭ আগস্ট:আজ সকালে সংসদ ভবনের কাছ থেকে গ্রেফতার হয়েছে একজন সন্দেহভাজন যুবক। তার কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি কাগজের টুকরো। তাতে সাংকেতিক ভাষায় কিছু লেখা রয়েছে। উদ্ধার হয়েছে ভিন্ন ভিন্ন নামে একাধিক পরিচয়পত্র।
পুলিশ জানিয়েছে, বুধবার ওই যুবককে সংসদের লনে ঘুরে বেড়াতে দেখা যায়। তার গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হতেই সঙ্গে সঙ্গে সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্সের একটি দল তার সঙ্গে কথা বলে। সেই সময় ওই যুবক পিঠে এটি ব্যাকপ্যাক নিয়ে ঘাসের উপর বসে ছিল। দিল্লির কড়া নিরাপত্তায় ঘেরা এই এলাকায় কি করছে সে জানতে চাওয়া হয় তার কাছে। ওই যুবকের ব্যাকপ্যাক থেকে বিভিন্ন নামের একটি ড্রাইভিং লাইসেন্স,আধার কার্ড উদ্ধার করে। তল্লাশি চালিয়ে মিলেছে একটি টুকরো কাগজে কোড লেখা সন্দেহজনক কোনো বার্তা।
জেরার মুখে ওই যুবক পুলিশকে জানিয়েছে সে জম্মু-কাশ্মীরের বুদগাম এলাকায় থাকে। মধ্য দিল্লির একটি থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়েছে ওই যুবককে। সূত্রের দাবি জেরায় বেশ কিছু অসংলগ্ন কথা বলেছে ওই যুবকে। আর তাতেই সন্দেহ বেড়েছে পুলিশের। প্রথমে সে নাকি জানিয়েছিল সে ২০১৬ সালে দিল্লি আসে। পরে আবার সে জানায় করোনাভাইরাস শুরু হওয়ার পর সে রাজধানীতে পৌঁছায়। গত কয়েকদিন পুরাতন দিল্লি নিজামুদ্দিনের জামিয়া নগর এলাকায় সে থাকত বলে জানিয়েছে।
তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে শুরু করেছে অন্যান্য তদন্তকারী সংস্থাও। সন্দেহভাজন ওই ব্যক্তিকে দফায় দফায় আরোও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। কী উদ্দেশ্য নিয়ে সেদিন সেখানে এসেছিল, তার কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া কোডের ভাষায় কি লেখা আছে, সে কোনো সন্ত্রাসবাদি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত কিনা সব খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গোয়েন্দারা কিছু দিন আগেই কেন্দ্রকে সতর্ক করেছিল ইসলামিক স্টেট জঙ্গিগোষ্ঠী ভারতকে টার্গেট করেছে। এর মধ্যে গত শনিবারই খোদ রাজধানী দিল্লির বুক থেকে গ্রেপ্তার হয়েছে এক আইএস জঙ্গি। ফলে ভেস্তে মায় বড়োসড়ো নাশকতার ছক। দিল্লির ধৌলা কুয়া এলাকায় সেনাবাহিনী স্কুলের সামনে থেকে সন্দেহভাজন ঐ জঙ্গি গ্রেপ্তার করা হয়। তার কাছ থেকে প্রচুর বিস্ফোরক উদ্ধার হয়। একটি প্রেসার কুকারের মধ্যে রাখা রেখেছিল সে ওই বিস্ফোরক। সূত্রের খবর ওই জঙ্গির নিশানায় ছিল কোনো প্রভাবশালী ব্যক্তি। আর এই ঘটনার ঠিক এক সপ্তাহ না হতেই রাজধানী থেকে আরও এক সন্দেহভাজন কাশ্মীরের যুবককে গ্রেফতার করল পুলিশ।

