আমাদের ভারত,১৫ জুন: আমি তো বলিউড আর ক্রিকেট জগৎ থেকে বহুদূরে। তাই সুশান্ত সিং রাজপুত এর নাম জানতাম না। তাঁর মৃত্যুর পরেই জানলাম। তাও এইসব খবর খুঁটিয়ে পড়ার সময় পাই না। শুনছি, সে নাকি আত্মহত্যা করেছে। অথচ সিনেমা জগতে তাঁর মত সফল ব্যক্তির আত্মহত্যা করার কোনও কারণ কেউ খুঁজে পাচ্ছে না। কোনঈ সুইসাইড নোটও পাওয়া যায়নি।
আমার দৃঢ় ধারণা, সুশান্ত সিং রাজপুত’কে হত্যা করা হয়েছে। যদিও সে বলিউডের খান কোম্পানির সঙ্গেই ছিল, তাদের তালে তাল মিলিয়েই চলত, তবু সুশান্ত’কে মরতে হল। কারণ কী? কারণ সে উঠতি এবং সফল, কিন্তু মোমিন নয়। অতএব তাকে সরিয়ে দেওয়া হল।
কেউ হয়ত প্রশ্ন তুলবে, অক্ষয় কুমার, সানি দেওল, ইত্যাদি অনেক কাফের হিরো তো বলিউডে সফল হয়েছে। তারা খুন হয়ে যায়নি কেন? কারণ, তারা ব্যাপারটা বুঝতে পেরে প্রোটেকশনের যথেষ্ট ব্যবস্থা করে নিয়েছে। তাই বেঁচে গিয়েছে। সফল টি সিরিজের এর প্রতিষ্ঠাতা গুলশান কুমার এর কথা মনে আছে? ১৯৯৭ সালে দাউদ ইব্রাহিম এর গ্যাং তাঁকে হত্যা করে। ১৯৯৩ সালে পাকিস্তানে পলাতক দাউদ ইব্রাহিম এর কী স্বার্থ ছিল গুলশান কুমার কে হত্যার? তোলাবাজির দাবিমত টাকা দিতে রাজি না হওয়া? তাহলে এরকম হত্যা কোনও সফল ধনী মোমিন হিরো বা পরিচালকের তো কখনো হয়নি!
মনে রাখবেন অজয় দেবগণ উঠতে পারল না। কাজল নিজের প্রতিজ্ঞা ভেঙে মোমিন হিরোদের সঙ্গে সিনেমা করতে বাধ্য হল। ঐশ্বর্য্য রাই নিজের ভালোবাসার জন বিবেক ওবেরয় কে ছেড়ে পাওয়ারফুল বচ্চন পরিবারে বিয়ে করতে বাধ্য হল শুধু সলমন খানের হাত থেকে বাঁচার জন্য। দাউদ ইব্রাহিমকে কে না ভয় পায়? দিব্যা ভারতী, মন্দাকিনীর পরিণতির কথা ঐশ্বর্য্য রাই ভালভাবেই জানত।
দাউদ ইব্রাহিমের এজেন্ট পাওয়ারফুল লবি এখন সুশান্ত সিং রাজপুত এর হত্যাকাণ্ডকে চেপে দেওয়ার জন্য সবরকম চেষ্টা করবে। চেষ্টা শুরু হয়ে গেছে। মন্ত্রী, নেতা ও বড় বড় পুলিশ অফিসারদের ভাল ইনকাম হবে। (লেখক তপন ঘোষ কট্টরপন্থী হিন্দু নেতা, তথ্য এবং মতামত লেখকের নিজস্ব।)