“সবার আগে ডিজিটাল মিডিয়ার গতিবিধিতে নজরদারি দরকার” সুপ্রিম কোর্টে আর্জি কেন্দ্রের

আমাদের ভারত, ১৭ সেপ্টেম্বর: আজকের সময়ে ডিজিটাল মিডিয়ার প্রভাব অনেক অনেক বেশি। তাই টেলিভিশনের বদলে সবার আগে ডিজিটাল মিডিয়ার মাত্রা বেঁধে দেওয়া উচিত। দেশের শীর্ষ আদালতে এমনটাই জানিয়েছে কেন্দ্র।

সম্প্রতি সুদর্শন টিভির একটি অনুষ্ঠানের দুটি পর্ব বন্ধ করে দেয় কেন্দ্র। এই বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টে কেন্দ্র জানিয়েছে এই অনুষ্ঠান সম্প্রচারিত হলে, মর্যাদাহানি হবে মুসলিম সমাজের। আজ সেই মামলার শুনানির আগে একটি বিবৃতি দিয়ে কেন্দ্র বলেছে, আদালতের উচিত, টেলিভিশনের আগে ডিজিটাল মিডিয়া গতিবিধির নজরদারি বাড়ানো।

কারণ ডিজিটাল মিডিয়ার পরিধি গত কয়েক বছরে অনেক অনেক বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। ডিজিটাল মিডিয়া ফেসবুক হোয়াটসঅ্যাপ টুইটারের দৌলতে বহুদূর ছড়িয়ে গেছে। ফলে খুব সহজেই যে কোন কন্টেন্ট ভাইরাল হয়ে যাচ্ছে নিমেষে। আর সেই কারণেই আদালতের উচিত এই বিষয়ে আলাদা ভাবে নজর দেওয়া।

সরকারের প্রতিনিধি জানিয়েছেন বাক স্বাধীনতা ও ভারসাম্য রক্ষাকারী সাংবাদিকতা বজায় রাখার জন্য নিয়ামক সংস্থাগুলি ইতিমধ্যেই সচেষ্ট হয়েছে। সরকার তরফে আর্জি জানানো হয়েছে কি দেখানো যাবে, কি দেখানো যাবে না, তার একটি সুনির্দিষ্ট প্যানেল তৈরি করে দিক সুপ্রিম কোর্ট। ভুলেও সরকারের পক্ষ থেকে

এদিকে ওই টেলিভিশন চ্যানেলের তরফের আইনজীবী জানিয়েছেন অনুষ্ঠানটি সমস্ত বিধি মেনেই সম্প্রচারিত হচ্ছে।তবে এতে চিড়ে ভেজেনি বলেই বোঝা যাচ্ছে। কারণ, বিচারপতির ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়,বিচারপতি ইন্দু মালহোত্রা,বিচারপতি কে এম জোসেফের বেঞ্চ জানিয়েছে ,প্রাথমিকভাবে দেখে মনে হচ্ছেওই অনুষ্ঠানে যা দেখানো হচ্ছে তাতে মুসলিম সমাজের প্রতি অবমাননা করা হয়।

একইসঙ্গে আদালতের এই বেঞ্চ প্রস্তাব দিয়েছে ৫ জন বিশিষ্ট নাগরিককে নিয়ে একটি কমিটি গড়তে হবে। সেই কমিটির কাজ হবে বৈদ্যুতিন মাধ্যমের জন্য একটি নির্দিষ্ট গাইডলাইন তৈরি করে দেওয়া। এরপরই সরকারি প্রতিনিধি জানিয়েছে এই ছাঁকনি বা গাইডলাইন এখন সবার আগে প্রয়োজন ডিজিটাল মিডিয়ার জন্য।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *