আমাদের ভারত, ৩০ জুন:
মহারাষ্ট্রের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন
শিবসেনার বিদ্রোহী বিধায়ক একনাথ শিন্ডে। রীতিমতো চমকে দিয়েই বৃহস্পতিবার বিজেপি নেতা দেবেন্দ্র ফড়নবিশ এই ঘোষণা করেছেন। তিনি বলেছেন, এমন একটি পদক্ষেপ নিতে সাধারণত দেখা যায় না। এটা বিজেপিই পারে।
আগাড়ি সরকার পতনে সকলেই মনে করেছিল মহারাষ্ট্রেও অপারেশন কমল সফল হয়েছে। এবার ফের মুখ্যমন্ত্রী পদে বসতে চলেছেন দেবেন্দ্র ফড়নবীশ। কারণ বিদ্রোহী শিবসেনা ও বিজেপির এই জোট সরকারে সংখ্যা গরিষ্ঠ দল বিজেপি। কিন্তু সকলকে চমকে দিয়ে শিণ্ডে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন বলে জানান তিনি।
ফড়নবিশ বলেন, “আমি সরকারের বাইরে থাকব এবং এটি যাতে সুষ্ঠুভাবে চলে তা নিশ্চিত করব, সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় শপথ নেবেন শিণ্ডে। আজ আর কোনো মন্ত্রী শপথ নেবেন না।”
অন্যদিকে একনাথ শিণ্ডে প্রধানমন্ত্রী মোদী, দেবেন্দ্র ফড়নবীশ এবং অন্যান্য বিজেপি নেতাদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তাঁর কথায়, “এটা তাদের মহানুভবতা। তাদের একটা বড় সুযোগ ছিল, তারপরও তারা আমাকে মুখ্যমন্ত্রী বানিয়েছেন। এটা কে করে?”
দেবেন্দ্র ফড়নবিশ এবং একনাথ শিণ্ডে একসাথে বিকেলের আগেই রাজ্যপাল ভগত সিং কোশিয়ারির সাথে দেখা করতে গিয়েছিলেন, ক্ষমতার দাবি করেন।
শিবসেনা নেতা উদ্ধব ঠাকরে গতকাল মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন। সুপ্রিম কোর্ট তাঁকে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের নির্দেশ দেওয়ার পরেই ফেসবুক লাইভে এসে নিজের পদত্যাগ করার কথা ঘোষণা করেন তিনি। ফলে পতন হয় শিবসেনা, এনসিপি ও কংগ্রেসের জোট সরকারের। উদ্ধব ঠাকরে বলেছেন, তার নিজের লোকেরাই বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন।
শিবসেনা বিদ্রোহীদের মুখপাত্র দীপক কেসারকার এর জবাবে বলেছেন, যে এই বিদ্রোহ ছিল কোনো ভালো পদের লোভে নয়, আদর্শের কারণে। সেই আদর্শ রক্ষাই তাদের পক্ষ পরিবর্তন করতে এবং বিজেপির সাথে যেতে বাধ্য করেছিল।
তিনি আরও বলেছেন যে বিদ্রোহীরা উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেনি। এখনও তার প্রতি তাদের ভালোবাসা এবং শ্রদ্ধা রয়েছে। তিনি বলেন, “শিবসেনার কেউই ঠাকরে পরিবারের বিরুদ্ধে নয়।”
বিদ্রোহের পর শিবসেনা প্রধানের কাছে মাত্র ১৩ জন বিধায়ক অবশিষ্ট ছিল। একনাথ শিন্ডে এবং একদল বিদ্রোহী প্রথমে বিলাসবহুল বাসে গুজরাটের সুরাটে চলে যান। পরে তাদের চার্টার্ড ফ্লাইটে আসামের গুয়াহাটিতে নিয়ে যাওয়া হয়। শক্তির সম্ভাব্য পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে তারা গত সন্ধ্যায় গোয়ায় অবতরণ করেন।