সাথী দাস, পুরুলিয়া, ৩ ফেব্রুয়ারি: আবার খবরে ঝালদা পুরসভা। সুরেশ আগারওয়াল ফের ঝালদার নতুন পুরপ্রধান হিসেবে নির্বাচিত হলেন। সরাসরি কোনো বিরোধ ছাড়াই ৬-০ ভোটে পাশ হল তাঁর নাম। এদিন ঝালদা পুরসভার পাঁচ বিক্ষুব্ধ তৃণমূল কাউন্সিলর, কংগ্রেসের এক কাউন্সিলর বিপ্লব কয়ালের সমর্থন নিয়ে নতুন পুরপ্রধান হিসেবে সুরেশ আগারওয়ালের নাম মনোনয়ন করে জেলা শাসকের কাছে পাঠানো হয়। তিনি অনুমোদন করার পর ঝালদার পুরপ্রধান হিসেবে শপথ নেবেন সুরেশবাবু।
উল্লেখ্য, ১২ আসনের ঝালদা পুরসভায় পাঁচটি করে আসন পায় কংগ্রেস ও তৃণমূল। দুটি আসন পায় নির্দল। পরবর্তীকালে একের পর এক ঘটনা ঘটে যায় এই পুরসভায়। কংগ্রেসের সমর্থনে পুরপ্রধান হন নির্দল কাউন্সিলর শিলা চট্টোপাধ্যায়। পরবর্তীকালে তিনি আরও এক নির্দল কাউন্সিলর সোমনাথ কর্মকার এবং তিন কংগ্রেস কাউন্সিলর মিঠুন কান্দু, বিজয় কান্দু এবং পিন্টু চন্দ্রকে নিয়ে যোগ দেন তৃণমূলে। যোগ দেওয়ার পর পুরপ্রধান পদেই থেকে যান শিলা। তবে তাঁকে মানতে পারেননি পুরনো পাঁচ তৃণমূল কাউন্সিলর সুরেশ আগারওয়াল, সুদীপ কর্মকার, জবা মাছুয়ার, পূর্ণিমা বাগতি এবং রিজুয়ানা খাতুন। দলীয় হুইপ অমান্য করে তাঁরা কংগ্রেসের দুই কাউন্সিলর পূর্ণিমা কান্দু এবং বিপ্লব কয়ালের সমর্থন নিয়ে অনাস্থা নিয়ে আসেন শিলার বিরুদ্ধে। ৭-০ ভোটে অপসারিত হন শিলা। এরপর আবার নতুন পুরপ্রধান মনোনয়নের জন্য কংগ্রেসের বিপ্লব কয়ালকে সঙ্গে নিয়ে পুরসভার সভাকক্ষে বৈঠক করা হয়। লক্ষ্যনীয় ভাবে এদিন অনুপস্থিত ছিলেন আরেক কংগ্রেস কাউন্সিলর পূর্ণিমা কান্দু।
সভা শেষে নব নির্বাচিত পুরপ্রধান সুরেশ আগরওয়াল বলেন, “কোনও বিরোধ ছাড়াই আমাকে পুরপ্রধান হিসেবে নির্বাচিত করেন উপস্থিত কাউন্সিলররা।” তৃণমূল কংগ্রেসের হুইপের কথা বলা হলে তিনি জানান, “দলের কোনও নির্দেশ আসেনি।”
ক্ষমতাচ্যুত পুরপ্রধান শিলা বলেন, “অবৈধ ভাবে এই বৈঠক এবং চেয়ারম্যান নির্বাচন হয়। দলের শোকজ নোটিশ ফিরিয়ে দেন ওঁরা। ১২ জন সদস্য, সেখানে সংখ্যা গরিষ্ঠতা না পেয়েই পুরপ্রধান কীভাবে কেউ হবেন। দল প্রয়োজনীয় পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করবে বলে আমি আশাবাদী।”