আমাদের ভারত, ১২ অক্টোবর: কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সোনালী চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুনর্নিয়োগ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায় আমাদের সকলের কাছে একটা চপেটাঘাতের সামিল। এই মন্তব্য করলেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির বিদায়ী সভাপতি গবেষক-বিজ্ঞানী ডঃ পার্থিব বসু।
পার্থিববাবু এই প্রতিবেদককে বলেন, “সুপ্রিম কোর্টের ভিসি-সম্পর্কিত রায় আমাদের সকলের কাছে একটা চপেটাঘাটের সামিল। হাইকোর্টের রায়ের পর প্রায় একমাস ধরে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনও মাথা (ভিসি নেই)। ১৯৭৯ সালের কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় আইনে বলা আছে, উপাচার্য না থাকলে সাময়িকভাবে সহ উপাচার্য সেই দায়িত্ব পালন করবেন। কিন্তু এই সরকার ২০১৭ সালে একটি আইন পাস করে আগের আইনটি খারিজ করে দেয়। ফলে ভিসি-র দায়িত্ব কেউ পালন করছেন না। ইতিহাসে এই প্রথম এই অবস্থা হল। এর জন্য প্রতি পদে অনেককে হোঁচট খেতে হচ্ছে।“
পার্থিব বসুর মতে, “বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্যের নিয়োগ বা পুনর্নিয়োগে সমস্ত রকম সংশ্লিষ্ট আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুষ্ঠ দেখানো হয়েছে। এই নিয়োগের আগে আইনি বৈধতা খতিয়ে দেখা হয়নি। উল্টে বেআইনি কাজকে আইনসিদ্ধ করার চেষ্টায় কোটি কোটি টাকা খরচ করা হয়েছে আদালতে। পরিণামের পরোয়া না করায় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রতিটি পক্ষের চরম ক্ষতি হয়েছে। এই বিরাট কলঙ্কের দায় কে নেবেন? এই লজ্জা কার?”