কমিটির সদস্যরা সবাই কৃষি বিশেষজ্ঞ, তাদের নিয়ে নিন্দে কেন করা হচ্ছে? বলল শীর্ষ আদালত

আমাদের ভারত, ২০ জানুয়ারি:বিতর্কিত তিন কৃষি আইন খতিয়ে দেখার জন্য চার সদস্যের একটি কমিটি করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। কিন্তু আন্দোলনকারি কৃষক সহ অনেকেই বলেছেন এই চার সদস্যই অতীতে নয়া কৃষি আইনের পক্ষে নিজেদের মতামত প্রকাশ করেছেন। তাই তাদের মতামত নিরপেক্ষ হতে পারে না। অনেকেই দাবি তুলেছেন এই কমিটি ভেঙে নতুন কমিটি গড়ে দেওয়া হোক। বুধবার সুপ্রিম কোর্ট নতুন প্যানেল গড়ার ব্যাপারে সরকারের মতামত জানতে চাইল।

এদিন প্রধান বিচারপতি বলেন, আমরা কৃষি বিষয়ে বিশেষজ্ঞ না বলেই প্যানেলে বিশেষজ্ঞদের নিয়োগ করেছি। প্যানেলের সদস্যরা প্রত্যেকেই কৃষিক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ। তাই তাদের নিন্দা করা উচিত নয়।” বিচারপতি আরও জানান বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগের কিছু নেই। কারণ কমিটির সদস্যরা শুধুমাত্র মতামত জানাবেন। কৃষি আইন নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা তাদের দেওয়া হয়নি।

প্রসঙ্গত, সুপ্রিমকোর্ট কমিটি গঠন করার পর কৃষকরা জানিয়ে দিয়েছিলেন যতদিন না এই নয়া তিন আইন প্রত্যাহার করা হচ্ছে ততদিন তাদের আন্দোলন চলবে। এমনকি সুপ্রিমকোর্টের নিযুক্ত এই কমিটিকে তারা কোনরকম সহযোগীতা করতে রাজি নন বলেও জানিয়েছিলেন। কৃষক আন্দোলনের নেতৃত্বের দাবি, তারা জানতেন নিজেদের ঘাড় থেকে দায় সারতে সুপ্রিম কোর্ট একটা কমিটি গঠন করবে। সেই জন্য তারা আগেই জানিয়েছিলেন তাঁরা কোনো কমিটির সঙ্গে কথা বলবেন না। কৃষি আইন প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত তাদের এই আন্দোলন চলবে।

সুপ্রিম কোর্ট যে চার সদস্যের কমিটি গঠন করেছিল তাতে ছিলেন কৃষি অর্থনীতিবীদ অশোক গুলাটি, শ্বেতাক্ষরি সংগঠনের সভাপতি অনিল ঘনওয়াত, ভারতীয় কিষান ইউনিয়নের সভাপতি ভূপেন্দর সিং মান এবং আন্তর্জাতিক খাদ্য নীতি বিশেষজ্ঞ প্রমোদ কুমার যোশী। শীর্ষ আদালত ওই কমিটিকে বলেছে সব দিক খতিয়ে দেখে দু’মাসের মধ্যে একটি রিপোর্ট জমা দিতে এবং ততদিন পর্যন্ত নয়া কৃষি আইনে স্থগিতাদেশ জারি করেছে আদালত। কিন্ত কমিটি গঠনের পর ১৪ জানুয়ারি কমিটির সদস্য ভূপেন্দর সিং মিন পদত্যাগ করেন। এরপর একটি কৃষক ইউনিয়নের তরফের সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করা হয় কমিটির বাকি তিন সদস্যকে সরিয়ে দেওয়া হোক ও আবার নতুন কমিটি গঠন করুক শীর্ষ আদালত।

ভূপেন্দর সিং মান কমিটি থেকে পদত্যাগ করে বলেন, কৃষকদের স্বার্থের সঙ্গে আপস করতে চান না তিনি। তিনি নিজে একজন কৃষক এবং কৃষক ইউনিয়নের নেতা, মানুষের ভাবাবেগের কথা চিন্তা করেই তিনি কমিটির সদস্যপদ ত্যাগ করছেন। তিনি চান না পাঞ্জাব তথা দেশের স্বার্থ ক্ষুণ্ন হয়। তিনি এও বলেন তিনি সবসময় পাঞ্জাব ও দেশের পক্ষে দাঁড়াবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *