আমাদের ভারত, উত্তর দিনাজপুর, ৩ এপ্রিল: লকডাউন ভেঙে ঘোরাঘুরি করলে পুলিশ কড়া হাতে মোকাবিলা করবে বলে সাধারন মানুষকে হুঁশিয়ারি দিলেন রায়গঞ্জ পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার সুমিত কুমার। তিনি জানিয়েছেন, লকডাউন নিয়ে সাধারন মানুষের শিথিলিতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কারনে অকারনে মানুষ ঘর থেকে বেরিয়ে রাস্তায় আসছেন। চায়ের দোকানে দাঁড়িয়ে আড্ডা দিচ্ছেন। জেলার সর্বত্র সি সি টিভি আছে। পুলিশ প্রতিনিয়ত নজর রাখছেন। এছাড়াও পুলিশ যে বডি ক্যামেরা আছে সেগুলোতে প্রতিনিয়ত ধরা পড়ছে।
রায়গঞ্জ পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার সুমিত কুমারের আবেদন, পরিবার এবং সমাজকে বাঁচানোর স্বার্থে লকডাউনকে যেন গুরুত্ব সহকারে মেনে চলেন। জেলা পুলিশের এই আবেদন সত্বেও লকডাউন অমান্য করলে পুলিশ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করতে বাধ্য হবে।অপ্রয়োজনীয় কাজে লকডাউন ভেঙে মানুষ ঘর থেকে একাধিকবার বের হলে পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করতে বাধ্য হবে। জাতীয় বিপর্যয় আইনে তাকে গ্রেপ্তার করা হবে। এই আইনে কেউ গ্রেপ্তার হলে তার একবছরের সাজার বিধান আছে বলে পুলিশ সুপার জানিয়েছেন।
বিশ্ব জুড়ে করোনা ভাইরাসে আতঙ্কিত মানুষ। ভারতে করোনা মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত লকডাউন ঘোষনা করেছেন। মানুষকে লকডাউন মানাতে পুলিশকে লাঠি পেটা করতে হয়েছিল। আপাতত পুলিশ অনেকটাই সতর্ক। পুলিশ অহেতুক কাউকে মারধর করছে না। পুলিশ সেই পদক্ষেপ থেকে সরে আসায় লকডাউনে অনেকটাই ঢিলেঢালা ভাব লক্ষ্য করছেন পুলিশ সুপার। তাই সাধারন মানুষকে লকডাউন মেনে চলার জন্য অনুরোধ করলেন পুলিশ সুপার সুমিত কুমার।
পুলিশ সুপার সুমিত কুমার জানিয়েছেন, মোট ২৪ জনের বাইরে থেকে আসার কথা শুনেছিলাম, তার মধ্যে ১৩ জন ডালখোলা ও ১১ জন রায়গঞ্জের ছিল। রায়গঞ্জের ১১ জন ২৮ ফেব্রুয়ারিতে রায়গঞ্জে এসেছিল। আজকের দিন পর্যন্ত তাদের ৩২ দিনের মতো হয়েছে। চিকিৎসকরা তাদের পরীক্ষানীরিক্ষা করে কোনও কিছু পাননি। আর ১৩ জন ডালখোলা পৌছেছিল ১৩ মার্চ তাদেরও ২০ দিনের মতো হয়েছে। তাদেরও চিকিৎসকরা পরীক্ষা করেছেন, কিছু ধরা পরেনি। শিলিগুড়ির বিধাননগরে হজ হাউস ২৪ জনকে রাখা হয়েছে। আর কেউ আছে নাকি তা দেখা হচ্ছে বলে জানান জেলা পুলিশ সুপার।