Sukanta, Sandeshkhali বিজেপি ও সন্দেশখালির মহিলাদের লাগাতার আন্দোলনের ফলে শেখ শাহজাহানকে গ্রেফতার করতে বাধ্য হয়েছে পুলিশ, বললেন সুকান্ত

আমাদের ভারত, ২৯ ফেব্রুয়ারি:
বিজেপি এবং সন্দেশখালির মহিলাদের লাগাতার আন্দোলনের ফলে শেখ শাহজাহানকে গ্রেফতার করতে বাধ্য হলো রাজ্য সরকার, বললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। একটি ভিডিও বার্তায় তিনি বলেছেন, বিজেপির ক্রমাগত আন্দোলনের কারণেই সরকার শেখ শাহজাহানকে গ্রেফতার করতে বাধ্য হল।

সুকান্তবাবুর কথায়, শেখ শাহজাহানকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়েছে বিজেপির আন্দোলনের ফলে। সন্দেশখালির মা, মেয়ে, বোনেদের আন্দোলনের ফলে এটা সম্ভব হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূল নেতৃত্ব প্রথম থেকেই এই অত্যাচারে ঘটনা অস্বীকার করে আসছিল। আমরা বাধ্য করেছি গ্রেপ্তার করতে। আমাদের লাগাতার আন্দোলন, ধর্না চলছিল চলবে। আজ মানুষকে ধন্যবাদ জানাবো।”

তিনি আরও বলেন, “আমি আগেই বলেছি যে আমরা শেখ শাহজাহানকে গ্রেফতার করতে সরকারকে বাধ্য করব। আজ বিজেপি এবং সন্দেশখালির মহিলাদের আন্দোলনের কারণে সরকার এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শেখ শাহজাহানকে গ্রেফতার করতে বাধ্য হয়েছে।”

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য সন্দেশখালি আন্দোলন শুরু হওয়ায় একাধিকবার বিজেপি নেতা সেখানে যাওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু বারবার পুলিশ তাদের আটকে দিয়েছে। সুকান্তবাবু নিজে সন্দেশখালি যাওয়ার চেষ্টা করেন কিন্তু তাকেও যেতে দেয়নি পুলিশ। তিনি বসিরহাটের টাকি থেকে সরস্বতী পুজোর দিন সন্দেশখালি যাওয়ার চেষ্টা করলে তাকে আটকে দেয় পুলিশ। ইছামতি নদীর তীরে তিনি সরস্বতী পুজো করে সন্দেশখালি যাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশের সঙ্গে তার ধস্তাধস্তি হয়। তাতে অসুস্থ হয়ে তিনি হাসপাতালে ভর্তিও হন। তারপর সুস্থ হয়ে দলের কর্মীদের নিয়ে আবারো সন্দেশখালি যাওয়ার চেষ্টা করেন তিনি। তখন আবার তাকে আটকে দেয় পুলিশ। তবে শেষ পর্যন্ত শুধুমাত্র তাকে একাই সন্দেশখালিতে ঢুকতে দেয় পুলিশ। এদিকে তিনি অসুস্থ থাকাকালীন সন্দেশখালি যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারীও। তাকেও আটকে দিয়েছিল পুলিশ, ১৪৪ ধারার অজুহাতে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আদালতের রায়ে সন্দেশখালি ঢোকার সুযোগ পেয়েছিলেন শুভেন্দু এবং শঙ্কর ঘোষ। তারা কথা বলেছিলেন এলাকার মানুষের সঙ্গে। আজও তিনি ফের সন্দেশখালি গিয়েছেন। এর মাঝে ফ্যাট ফাইন্ডিং দলকেও সন্দেশখালির ভেতরে যেতে দেয়নি পুলিশ। সুকান্তবাবুর দাবি, এই এত কিছুর চাপে পড়েই শেষ পর্যন্ত শাজাহানকে গ্রেফতার করতে বাধ্য হয়েছে পুলিশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *