আমাদের ভারত, জলপাইগুড়ি, ৬ সেপ্টেম্বর: ’তৃণমূলের সবাই চোর’। রাজ্য দুর্নীতিতে ছেয়ে গিয়েছে, গঙ্গা জল দিয়ে রাজ্যকে শুদ্ধ করতে হবে–এভাবেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ দলের নেতা মন্ত্রীদের আক্রমণ করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। মঙ্গলবার জলপাইগুড়ি শহরের কদমতলায় এক হোটেলে সাংবাদিক বৈঠক করেন তিনি।
সুকান্ত মজুমদার বলেন, রাজ্যে একশো দিনের কাজে দুর্নীতি হচ্ছে, জলপাইগুড়িও তার বাইরে নয়। জলপাইগুড়ি পুরসভায় কোটি কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে। একজন কর্মী পালিয়ে আছেন, তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এই ব্যাপারে সিবিআই তদন্তের জন্য দলের জেলার নেতাদের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চে মামলা করতে বললেন।
কয়লা পাচার, গরু পাচার তো আছেই তার সঙ্গে নদীর বালি তুলে নদীকেও বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে। এরসঙ্গে তৃণমূল নেতারা সরাসরি যুক্ত, জলপাইগুড়িও তার বাইরে নয়। এই জেলায় পুলিশ প্রশাসন কী করছে তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন সুকান্তবাবু। তিনি বলেন, পুলিশ সুপার কী করছেন, না কি তার কাছেও ভাগের টাকা যায়? পুলিশ সুপার টাকা পান কি না সেটা তিনি নিজেই বলতে পারবেন। কিন্তু আমরা দেখতে পাচ্ছি, গাড়ি ভর্তি গরু সীমান্তের দিকে যাচ্ছে এবং যেখানে কাঁটাতারের বেড়া নেই সেখান দিয়ে গরু পাচার চলছে।
তাঁর অভিযোগ, শুধু কলকাতাকে কেন্দ্র করে উন্নয়ন হচ্ছে। উত্তরবঙ্গ সহ দক্ষিণবঙ্গের অনেক জায়গায় উন্নয়ন হয়নি। এই কারণে কেএলও সহ বিভিন্ন বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন মাথা চাড়া দিয়েছে।
কলকাতা কেন্দ্রীক উন্নয়ন ঠিক নয়। এর জন্য দুই পক্ষের ক্ষতি হচ্ছে।
সংবাদিক বৈঠকে রাজ্য সভাপতির সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন জেলা সভাপতি বাপী গোস্বামী, সহ সভাপতি তপন রায়, বিজেপি যুব মোর্চার জেলা সভাপতি পলেন ঘোষ, জেলা সম্পাদক শ্যাম প্রসাদ। সুকান্তবাবু জানান, ৯ সেপ্টেম্বর জলপাইগুড়ি শহরে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী আসবেন। ওইদিন তিনি নবান্ন অভিযানের প্রচারে পদযাত্রা করবেন।