আমাদের ভারত, ২৬ অক্টোবর: কাকদ্বীপে কালী মূর্তির শিরচ্ছেদ ও বাংলার মাটিতে সনাতনীদের ধর্মীয় বিশ্বাসের উপর প্রতিদিন বর্বর আঘাতের প্রতিবাদে রবিবার বিজেপির মথুরাপুর জেলার সংগঠনের ডাকে কাকদ্বীপ বাসন্তী ময়দান থেকে কাকদ্বীপ বাস স্ট্যান্ড পর্যন্ত প্রতিবাদ মিছিল হয়। এই মিছিলে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। মিছিলের পর সেখানে একটি প্রতিবাদ সভাও করেন সুকান্তবাবু।
বক্তব্য রাখতে উঠেই কাকদ্বীপ কালী মূর্তি ভাঙ্গার ঘটনায় তৃণমূল কংগ্রেস ও রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধে সরব হন বিজেপি নেতা তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। তিনি বলেন,২২ তারিখ সকালে খবর পেয়েছিলাম মায়ের মূর্তির শিরচ্ছেদ করেছে। তারপর আবার সেই মূর্তি পুলিশ প্রিজন ভ্যানে করে তুলে নিয়ে যায়। তিনি প্রশ্ন তোলেন, মা কালীকে কেন প্রিজন ভ্যানে করে তুলে নিয়ে যেতে হবে? একটা ছোটা-হাতি গাড়ি ভাড়া করার পয়সাও ছিল না পুলিশের? এর পরেই কটাক্ষ করে সুকান্ত মজুমদার বলেন, “আমাদের বললে আমরা এক টাকা করে চাঁদা তুলে ভিখারী পুলিশের হাতে টাকা তুলে দিতাম। কালী মূর্তি সম্মানের সঙ্গে স্থানান্তর হতো। ক্ষোভের সুরে তিনি বলেন, সম্মান না করতে পারলেও মা কালীকে এভাবে অপমান করার অধিকার নেই পুলিশের।
এরপরেই স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বে বিরুদ্ধে তোপ দেগে বলেন, “আমি শুনতে পেয়েছি পুলিশের থেকেও তৃণমূল নেতাদের বেশি উদ্যোগ ছিল মা কালীকে লকআপে ঢোকানোর। তৃণমূল নেতার নির্দেশেই পুলিশ এটা করেছে। সেই সব তৃণমূল নেতাকে ধিক্কার জানাই।” এক্ষেত্রে তিনি স্থানীয় সাংসদ বাপি হালদারের নাম উল্লেখ করেন।
আজ কাকদ্বীপের ঘটনার প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তথা তৃণমূল কংগ্রেসের নেতাদের দু’ নম্বরী হিন্দু বলে তিরস্কার করেন সুকান্ত মজুমদার। তাঁর কথায়, তৃণমূল নেতারা রাস্তায় বলে বেড়ান দিঘাতে জগন্নাথ মন্দির তৈরি করেছেন তারা। অথচ সরকারি খাতায় কলমে দিঘাতে যেটা তৈরি হয়েছে সেটা জগন্নাথ কালচারাল সেন্টার। এই নামেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কাছে চিফ সেক্রেটারির সই করা চিঠি এসেছিল বলে জানান সুকান্ত মজুমদার। ফলে তিনি সাধারণ মানুষকে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতাদের প্রশ্ন করতে বলেন, ওটা মন্দির না সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, কোনটা? তার পরেই তৃণমূল নেতা- কর্মীদের বিরুদ্ধে নিশানা দেগে বলেন, “যে বা যারা জগন্নাথ মন্দিরকে মন্দির বলতে পারে না সেই দু নম্বরি হিন্দুদের আমাদের প্রয়োজন নেই।”
এরপরেই কাকদ্বীপের ঘটনায় হুঁশিয়ারি দিয়ে সুকান্ত মজুমদার বলেন, এরপর যে বা যারা মূর্তি ভাঙ্গার সাহস দেখাবে, প্রয়োজনে তাদের পিঠের চামড়া তুলে ডুগডুগি বাজানোর ব্যবস্থা করা হবে।
একই সঙ্গে তিনি বলেন, “ছাব্বিশে বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর পুলিশ থানার সামনে জিপ থাকবে না। থাকবে বুলডোজার। যোগী রাজ্যের মতো। যারা এই ধরনের অপরাধ করবে তার মূল্য চোকাতে তাদের বাড়ির সামনে গিয়ে বুলডোজার দাঁড়াবে, ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিয়ে আসবে বাড়িঘর।
অন্যদিকে দিকে এস আই আর নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস ভুল বোঝানোর চেষ্টা করছে বলে দাবি করেন তিনি। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, হিন্দু হোক বা মুসলমান, ভয় পাবেন না, যে ভারতীয় তার নাম ভোটার লিস্টে থাকবে। সে যে কোনো ধর্মের হোক বা যে কোনো জাতির হোক।

