আমাদের ভারত, ৭ সেপ্টেম্বর: “অশিক্ষা, বর্বরতা ও ঔদ্ধত্য কোন চরম সীমায় পৌঁছালে এমন ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটতে পারে!” মালদার চাঁচল কলেজ প্রাঙ্গণে এক টিএমসিপি নেতা প্রকাশ্যে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছবি আগুনে পুড়িয়ে দেওয়ার অপচেষ্টার অভিযোগ এনে এক্সবার্তায় এই মন্তব্য করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ডঃ সুকান্ত মজুমদার।
সুকান্তবাবুর বক্তব্য, এ দৃশ্য শুধু গোটা বাঙালি সমাজকে মর্মাহতই করে না, বরং মাথা নত করে দেয়। পশ্চিমবঙ্গের পুলিশ-প্রশাসনের নৈতিক দায়িত্ব হলো এদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা।
রবিবার এক্স বার্তায় সুকান্তবাবু লিখেছেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে তথাকথিত ‘ভাষা আন্দোলন’-এর নামে যেসব ভণ্ডামির নাটক মঞ্চস্থ করা হচ্ছে, মালদহের এই ঘটনাও তারই জঘন্য বহিঃপ্রকাশ। কবিগুরুর ছবি দাহ করার অপচেষ্টার মতো নিন্দনীয় কর্মকাণ্ডকে যদি প্রতিবাদের অংশ হিসেবে দাঁড় করানো হয়, তবে সেটি বাঙালির সংস্কৃতির প্রতি চরম বিশ্বাসঘাতকতা ছাড়া আর কিছু নয়।
কবিগুরু রবীন্দ্রনাথের ছবি পুড়িয়ে ফেলার চেষ্টার মতো দুঃসাহস যাদের মধ্যে জাগে, তাদের বাংলা প্রেমের দাবিই ভণ্ডামি। এমন ঘৃণ্য কাজ যারা করে, তাদের বাঙালি পরিচয় দেওয়া নিজেই বাংলার অপমান।”