আমাদের ভারত, ১০ জুন: “বাংলায় প্রায়শই শোনা যায় বাংলার টাকা নাকি বঞ্চিত করা হচ্ছে। তৃণমূলকে প্রায়ই বলতে শোনা যায় আমাদের টাকা আটকে রাখা হয়েছে।” বিজেপির রাজ্য সভাপতি এবং কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী ড: সুকান্ত মজুমদার এই মন্তব্য করে বিপরীত মন্তব্য প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করলেন।
তিনি বলেন, “আপনারা জানেন যে রাজস্ব সংগ্রহ হয় তার একটা অংশ রাজ্যে ফেরত আসে। UPA 1 এ রাজ্যকে ১.৩৪ লক্ষ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছিল ১০ বছরে। আর মোদিজীর আমলে ১১ বছরে ৫.২৪ লক্ষ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ ৪ গুণ বেশি টাকা দেওয়া হয়েছে। UPA আমলে ‘গ্র্যান্ট ইন এইড’ পেয়েছিল ৭৫ হাজার কোটি টাকা। বিজেপির শাসনকালে পেয়েছে ৩ লক্ষ কোটি টাকা।”
কেন্দ্রে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে বিজেপি সরকারের ১১ বছরের পূর্তি উপলক্ষ্যে কলকাতার একটি পাঁচতারা হোটেলে বিশেষ সাংবাদিক সম্মেলনে সুকান্তবাবু বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর সেবা, সুশাসন, সবার বিশ্বাস ও সবার বিকাশের মন্ত্রে ১১ বছর আমরা পেরিয়ে এসেছি। সোমবার আমাদের কেন্দ্রীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে এই কর্মসূচির সূচনা করেন। আজ আমাদের মধ্যে উপস্থিত আছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শ্রী ভূপেন্দ্র যাদব।
সুকান্তবাবু বলেন, “জাতীয় সড়কে বিপুল উন্নতি করা হয়েছে। খড়্গপুর- শিলিগুড়ি ইকনমিক করিডোর তৈরি হয়েছে, ৩০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ৫২০ কিমি গ্রিন ফিল্ড রাস্তা তৈরি হবে ২০২৭ সালের মধ্যে। ১৪-২১ সালে ১০ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগে ১ হাজার কিমি রাস্তা তৈরি হয়েছে।
১৩০০ কিমি নতুন রেল ট্র্যাক তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু ৬১টি রেলওয়ে প্রজেক্ট আটকে রয়েছে রাজ্য সরকারের জমি জটের কারণে। ৩০০ কোটি ব্যয়ে নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন, ৪০০ কোটি কলকাতা বিমানবন্দর, ৭০০ কোটি অন্ডাল বিমানবন্দরের পরিকাঠামো উন্নয়ন করা হয়েছে। ১৫৫০ কোটি বাগডোগরা বিমানবন্দরকে সাজিয়ে তোলা হচ্ছে। ময়ূরাক্ষী সেচ ১৩০ মেগা ওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কিন্তু বৈরিতার জন্য সব কাজ করা সম্ভব হচ্ছে না। মুফত বিজলী, ঘর যোজনার ভর্তুকি পাওয়া যাচ্ছে না। সোলার প্রকল্পের লাভ পাওয়া যাচ্ছে না।
আসলে উন্নয়ন তখনই সম্ভব যখন আইন শৃঙ্খলা ঠিক থাকে। পশ্চিমবঙ্গের তথাকথিত নাগরিক বাংলাদেশের হাসিনা হঠাও আন্দোলনে অংশগ্রহণ করছে।ইন্টারন্যাশনাল কর্মী একমাত্র তৃণমূলে দেখা যায়। মুর্শিদাবাদের মত পরিস্থিতি তৈরি করা হচ্ছে। কলকাতার রাস্তা রক্তে ভেসে যাচ্ছে, লন্ডন হতে গিয়ে ঢাকা হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু এভাবে আর বেশিদিন চলবে না। ২০২৬ সালে বিজেপি ক্ষমতায় আসবে এবং মোদিজীর উন্নয়নের মডেল হবে পশ্চিমবঙ্গের মডেল।”