আমাদের ভারত, ৮ মে: উলুবেড়িয়ায় একটা দলীয় কর্মসূচিতে গিয়ে নাম না করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে চূড়ান্ত কটাক্ষ করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, রোদে পুড়ে সোনার খুব কষ্ট হচ্ছে। কতদিন এভাবে চালাতে পারেন দেখা যাক।
সোমবার হাওড়ার উলুবেরিয়া পূর্ব বিধানসভা ১ নম্বর মন্ডলের রঘুদেবপুর অঞ্চলে বিজেপির দলীয় কার্যালয় পুর্ননির্মিত ভবনের উদ্বোধন কর্মসূচিতে গিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে সোনা বলে কটাক্ষ করেন সুকান্ত মজুমদার। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এখন নবজোয়ার কর্মসূচির মাধ্যমে জন সংযোগে নেমেছেন। এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে সুকান্ত বলেন, “রোদে পুড়ে সোনার খুব কষ্ট হচ্ছে। সোনার চামচ মুখে দিয়ে জন্মেছেন। আগে কখনো রোদে ঘোরেননি। আগে হেলিকপ্টারে যেতেন, এখন গাড়িতে যেতে হচ্ছে। দেখা যাক এই অবস্থায় ময়দানে কদিন টিকতে পারেন।”
নব জোয়ার কর্মসূচিতে প্রার্থী বাছাই নিয়ে একাধিক জায়গায় ধুন্দুমার কাণ্ড হয়েছে। এই ঘটনা সম্পর্কে বলতে গিয়ে সুকান্ত মজুমদার বলেন, পঞ্চায়েত ভোটে কিভাবে ভোট লুট করবে তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা তার প্রশিক্ষণ দিয়ে বেড়াচ্ছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
অন্যদিকে পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে সমর্থন করার প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে সুকান্ত বলেন, দল এখন আর ওনার দায়িত্ব নিচ্ছে না। ডুবন্ত মানুষ যেমন খড়কুটো ধরে বাঁচতে চায়, ওনার আজ সেই একই পরিস্থিতি। তাই উনি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশংসা করছেন। আসলে ওর রাজনৈতিক ক্যারিয়ার শেষ। আগামী ৪-৫ বছর পর যখন জেল থেকে বেরোবেন তখন তিনি আর নড়তেও পারবেন না, হাঁটতেও পারবেন না।
এদিকে গরু পাচার মামলা ও অনুব্রত মণ্ডলের বিষয়ে সুকান্ত বলেন, অনুব্রত একা কিছুই করেননি। একা এত বড় কাজ কেউ করতে পারে না। ওই টাকা কালীঘাট পর্যন্ত পৌঁছাতো বলে দাবি করেন সুকান্ত। তিনি বলেন, টাকার ভাগ তৃণমূলের সর্বোচ্চ নেতৃত্ব পর্যন্ত সকলেই নিয়েছেন।