শ্রীরূপা চক্রবর্তী, ৩০ মে: করোনার মত অতি মহামারীর মোকাবিলায় দেশজুড়ে লকডাউন চলছে। আর এই লকডাউনের কারণে দেশের অর্থনীতির চাকার প্রায় থেমে গেছে। সেই স্থবির চাকাকে ফের কীভাবে গতি দেওয়া যায়, কীভাবে শিল্পের হাত ধরে দেশের অর্থনীতিকে ফের দাঁড় করানো যায় তা নিয়ে একটি আন্তর্জাতিক স্তরের ওয়েব সেমিনারের আয়োজন করেছিল ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান ইন্ড্রাস্ট্রি। আর এই সেমিনারে বাংলার তরফে বক্তব্য রাখেন বিজেপির বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। তিনি এই পরিস্থিতিতে উত্তরবঙ্গে চা, তামাক সহ কৃষিজাত শিল্পে বিনিয়োগের বিষয়টি তুলে ধরেন।
এই সেমিনারে সুকান্ত মজুমদার ছাড়াও ভারতের আরও চারজন সাংসদ ছিলেন। এছাড়াও ব্রিটেন ও নিউজিল্যান্ডের জন প্রতিনিধি ও ব্যবসায়ীরা অংশগ্রহণ করেন।
অতিমহামারির পরবর্তী সময়ে কীভাবে একে অপরের সহোযোগিতায় নিজ নিজ দেশের অর্থনীতিকে ফের দাড় করাতে পারা যায় তাই এখন বিশ্বের সব দেশের মুখ্য আলোচ্য বিষয়। মূলত কৃষি ও শিল্পের হাত ধরেই ঘুরে দাঁড়াতে হবে ভারতকে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা। আর শিল্পের হাত ধরে অর্থনীতিকে পুনরুজ্জীবিত করতে গেলে তাতে বিনিয়োগ প্রয়োজন। আর এই বিনিয়োগ কোথায় কী ভাবে করা যায় সেই বিষয়ে এই আন্তর্জাতিক স্তরের ওয়েব সেমিনার অনুষ্ঠিত হয় ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান ইন্ড্রাস্ট্রির উদ্যোগে। এই সংগঠনটি মূলত সরকার ও শিল্পমহলের মধ্যে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করে।
করোনা পরবর্তী সময়ে কীভাবে অর্থনৈতিক উন্নয়নের দিকে এগোনো যায় ও তাতে ব্রিটেন, নিউজিল্যান্ড ও ভারত কীভাবে একে অপরকে সহোযোগিতা করে এগোতে পারে তাই নিয়ে আলোচনা হয় এই আন্তর্জাতিক ওয়েব সেমিনারে। সেখানেই বাংলার প্রতিনিধিত্ব করেন বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। তিনি ছাড়াও এই সেমিনারে অংশগ্রহণ করেছিলেন,
রাজ্য সভার সাংসদ বীরেন্দর সিং, মহেশ পোদ্দার, লোকসভার সাংসদ মীনাক্ষী লেখী, মনোজ কোটাক, নিউজিল্যান্ডের পার্লামেন্টের সদস্য কানোয়ালজিৎ সিং বক্সি , নিউজিল্যান্ডের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সুনীল কৌশাল, ব্রিটেনের হাউস অফ লর্ডসের সদস্য বারোনেশ ভার্মা।
উত্তর বঙ্গের অর্থনীতিকে ফের দাঁড় করাতে গেলে প্রয়োজন বিনিয়োগ। চা, তামাক সহ কৃষিজ শিল্পে যদি বিনিয়োগ হয় তাহলে এই শিল্পগুলির হাত ধরে উত্তর বঙ্গ ঘুরে দাঁড়াতে পারবে বলে সেমিনারে মত প্রকাশ করেন সুকান্ত মজুমদার।