Sukanta, Education Policy, জাতীয় শিক্ষা নীতির পঞ্চম বর্ষপূর্তিতে বার্তা সুকান্ত মজুমদারের

আমাদের ভারত, ২৯ জুলাই: ২৯ শে জুলাই এক ঐতিহাসিক ও গর্বের দিন। আজকের দিনটি আমাদের জাতীয় শিক্ষাক্ষেত্রের ইতিহাসে এক বিশেষ মাইলফলক।” মঙ্গলবার এক্সবার্তায় এই মন্তব্য করলেন ভারতের কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ডঃ সুকান্ত মজুমদার।

তিনি লিখেছেন, “আজ থেকে ঠিক পাঁচ বছর আগে, ২০২০ সালের এই দিনেই, বিশ্বের সর্বাধিক জনপ্রিয় নেতা তথা ভারতের যশস্বী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সুদূরপ্রসারী দৃষ্টিভঙ্গি ও নেতৃত্বে সূচনা হয়েছিল জাতীয় শিক্ষা নীতি ২০২০-র এক যুগান্তকারী ও ঐতিহাসিক পদক্ষেপ। এটি শিক্ষার জগতে মৌলিক পরিবর্তন এনেছে।

এই নীতি কেবল একটি প্রশাসনিক রূপরেখা নয়, বরং এটি ভারতের একটি নতুন শিক্ষাদর্শন, যার মূলে রয়েছে জ্ঞান, মানবিকতা, উদ্ভাবন এবং অন্তর্ভুক্তির দর্শন।
এই নীতির মূল লক্ষ্য ছিল:
* সকলের জন্য সমতাভিত্তিক ও বিশ্বমানের শিক্ষার সুযোগ নিশ্চিত করা।
*প্রতিটি শিক্ষার্থীর অন্তর্নিহিত সামর্থ্য, প্রতিভা ও সৃজনশীলতাকে জাগ্রত করা।
*ভারতের যুবসমাজকে একবিংশ শতাব্দীর বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনার জন্য প্রস্তুত করা।
গত পাঁচ বছরে এনেছে বৈপ্লবিক পরিবর্তন:

#শিক্ষাকে করা হয়েছে শিক্ষার্থী-কেন্দ্রিক ও দক্ষতাভিত্তিক।
# গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে সমালোচনামূলক চিন্তন ও সমস্যা সমাধানমূলক শিক্ষার উপর।
# প্রচলিত বইনির্ভরতা ভেঙে আনন্দময়, সৃজনশীল ও বহুমাত্রিক শিক্ষার পরিবেশ গড়ে তোলা হয়েছে।
# মাতৃভাষায় শিক্ষা, প্রাক-প্রাথমিক স্তরের গুরুত্ব, দক্ষতা উন্নয়ন, প্রযুক্তিগত ক্ষেত্রে উন্নয়ন ইত্যাদির মাধ্যমে শিক্ষাকে করা হয়েছে আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক ও বাস্তবমুখী।

আজ, ৫ বছর পূর্ণ করল এই ঐতিহাসিক নীতি। এই অল্প সময়ের মধ্যেই এটি প্রমাণ করেছে যে এনইপি ২০২০ শুধু শিক্ষার সংস্কার নয়, এটি ‘বিকশিত ভারত’-এর দিশারি।

এই দিনে, আমরা কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে, যাঁর সাহসী সিদ্ধান্ত ও সঠিক নেতৃত্ব ভারতের শিক্ষাক্ষেত্রকে এক নতুন দিগন্তে পৌঁছে দিয়েছে।

এই বিশেষ দিনে দেশবাসীকে এবং আমার অত্যন্ত স্নেহের শিক্ষার্থীদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। চলুন, আমরা সকলে মিলে এই যুগান্তকারী নীতিকে বাস্তবায়নের পথে অবিচল থাকি – এক উদ্ভাবনী, দক্ষতাসম্পন্ন, জ্ঞানভিত্তিক ও আত্মনির্ভর ভারতের পথেই এগিয়ে চলি।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *