আমাদের ভারত, ৮ মার্চ: পেটের ভাত জোগাড় করতে রাজ্যের বহু মানুষ ভিন রাজ্য কিংবা অন্য দেশে পাড়ি দেয়, পশ্চিমবঙ্গে এই ছবি নিতান্তই সাধারণ। ঠিক তেমনি নদীয়ার এক গৃহবধু পর্তুগালে কাজ করতে গিয়ে খুন হয়ে যান। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের উদ্যোগে তাঁর মৃতদেহ বিদেশবিভুঁই থেকে আনা হল বাড়িতে।
নদীয়ার শান্তিপুরে গৃহবধূ শোভা হাজরা কর্মসূত্রে পর্তুগালে গিয়েছিলেন। সেখানে তিনি রাঁধুনীর কাজ করতেন। কিন্তু ২০-২১ দিন আগে সেখানে তিনি খুন হয়ে যান। শোভাদেবীর স্বামীও ভিন রাজ্যে কাজ করেন।
মৃত্যুর খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন শান্তিপুরের স্থানীয় বিজেপির যুব মোর্চার নেতাদের বিষয়টি জানায় এবং সেখান থেকে রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হয়। এরপর সুকান্ত মজুমদার নিযে দায়িত্ব নিয়ে বিদেশ মন্ত্রকের সঙ্গে যোগাযোগ করে পর্তুগালে কর্মরত ওই গৃহবধূর মৃতদেহ শান্তিপুরে পরিবারের কাছে পৌঁছে দিতে সাহায্য করেন। তাঁর তাৎপরতায় ২০ দিন বাদে সুদূর পর্তুগালে খুন হওয়া ওই বাঙালি গৃহবধুর কফিনবন্দি মৃতদেহ পৌঁছায় নদীয়ার বাড়িতে, ওই গৃহবধূর পরিবারের কাছে।
গৃহবধুর দেহ পরিবার ফিরে পেয়ে সুকান্ত মজুমদারকে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছে ওই পরিবার।
সুকান্ত মজুমদার বলেন, “কাজের খোঁজে অন্য রাজ্য বা অন্য দেশে চলে যাওয়া নিত্য নৈমিত্তিক ঘটনা হয়ে গেছে। এই গৃহবধু পর্তুগালে গিয়েছিলেন রান্নার কাজ করতে। তিনি সেখানে খুন হয়ে যান। যেহেতু খুনের মামলা, ময়নাতদন্তের থেকে শুরু করে পুলিশের তদন্তের বিষয়ে ছিল। তারপর তাঁর মৃতদেহ আনার ব্যবস্থা আমি করি। প্রায় ২১ দিন পর তাঁর মৃতদেহ পর্তুগাল থেকে ভারতে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। এই প্রবল দুঃখের মধ্যেও পরিবারের লোক কিছুটা সান্তনা পেয়েছে যে অন্ততপক্ষে মৃতদেহটা দেখতে পেলেন। তাঁর মেয়ে আমার সাথে যোগাযোগ করেছিলেন ওনাদের পাশে থাকতে পেরে আমার ভালো লেগেছে।”