আমাদের ভারত, ১১ জুলাই: প্রকাশ্যে চলে এসেছে গোপন চিরকুট। আর তাতেই রাজ্য রাজনীতির তর্জা নতুন মাত্রা পেয়েছে। নতুন করে বাক বিতন্ডায় জড়িয়েছে বিজেপি- তৃণমূল। নিয়োগ দুর্নীতি সহ বিরোধীদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে তা তুলে ধরতে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি চিরকুট পোস্ট করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। গোপনে থাকা সেই চিরকুট ঘিরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
বাম জমানায় চিরকুটে চাকরি দেওয়ার অভিযোগ তুলে একাধিক বার সরব হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু এবার তৃণমূল জমানাতেও চিরকুটে চাকরি দেওয়ার অভিযোগ উঠল। এই অভিযোগ করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বালুরঘাটে সংসদ সুকান্ত মজুমদার। তিনি অভিযোগ করেছেন, বিদ্যুৎ দপ্তরের এক আধিকারিকের বিরুদ্ধে। যদিও সেই ব্যক্তি অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ও আইনি লড়াইয়ের হুমকি দিয়েছেন।তবে বিদ্যুৎ দপ্তরের তরফে বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেসের তরফেও সুকান্ত মজুমদারের তোলা অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় সুকান্ত মজুমদার একটি চিরকুট পোস্ট করেছেন। সেই চিরকুটের নিচে একটি সই রয়েছে। তার সঙ্গে রয়েছে একটি স্ট্যাম্প। স্ট্যাম্পটি দক্ষিণ দিনাজপুর বিদ্যুৎ দপ্তরের স্টেশন ম্যানেজারের। স্টেশন ম্যানেজারের নাম নাজমুল হক। সুকান্ত মজুমদারের অভিযোগ, ওই চিরকুট নাজমুল হক পাঠিয়েছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সাধারণ সম্পাদক মফিজ উদ্দিন মিয়াকে।
চিরকুটে যে ছবি সুকান্ত মজুমদার পোস্ট করেছেন, তাতে লেখা রয়েছে চাকরি দেওয়ার জন্য ৬ লাখ ৫২ হাজার টাকা তিনি পেয়েছেন। পাশাপাশি কুমারগঞ্জের ওই তৃণমূল নেতার কথা মেনে বিজেপি নেতা সুশীল মার্ডির বিরুদ্ধে বিদ্যুৎ চুরির অভিযোগ এনে আড়াই লক্ষ টাকা ফাইন করেছেন। (চিরকুটের সত্যতা যাচাই করেনি আমাদের ভারত)
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার সাংবাদিকদের বলেন, “আমি একটি ডকুমেন্ট পেয়েছি। আধিকারিক তার প্যাডে সিল দিয়ে তৃণমূল নেতাকে লিখছেন আপনি যাকে চাকরির জন্য পাঠিয়েছেন তার কাছ থেকে টাকা পেয়েছি। এছাড়াও আমাদের এসটি মোর্চার সভাপতিকে মিথ্যে বিদ্যুতের বিলের মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে। সেটাও লেখা রয়েছে তাতে। এটিকেই আমরা জনসমক্ষে তুলে ধরেছি। যেখানে বেকাররা চাকরি পাচ্ছে না, সেখানে তৃণমূল কিভাবে চাকরি বিক্রি করছে এবং বিরোধী দলের নেতাদের এভাবে ফাঁসানো হচ্ছে?”