আমাদের ভারত, ২০ জুন: চিকিৎসক রজতশুভ্র বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি যাওয়ার পথে পুলিশ বাধা দেয় সুকান্ত মজুমদারকে। সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক তখন রাস্তার এসে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে গেলে পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে লালবাজার নিয়ে যায। দীর্ঘ ২ ঘন্টা পর জামিনে ছাড়া পান বিজেপি সংসদ তথা রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। বেরিয়ে এসে সাংবাদিকদের সামনে ক্ষোভ উগরে দেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি।
তাঁর কথায়, একজন চিকিৎসকের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার জন্য যেভাবে আমাকে এবং ওই চিকিৎসককে পুলিশ টেনে হিঁচড়ে গাড়িতে তুলে থানায় নিয়ে গেল, গ্রেপ্তার করলো তা হিটলারের শাসনকেও হার মানাবে।
তিনি আরো বলেন, আমার দ্বারা যদি কারো নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয় তাহলে ৪০০০ পুলিশ দিয়ে ঘিরে আমাকে নিয়ে যান। আমি তো পুলিশকে বলেছিলাম আমাকে পৌঁছে দিন। আজ যা হয়েছে সেটা বেআইনি কাজ হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে তিনি লোকসভার স্পিকারের দ্বারস্থ হবেন বলে জানান। তিনি বলেন, ‘আমি প্রিভিলেজ মোশন আনার জন্য স্পিকারকে চিঠি লিখব। আদালতে যাব। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকেও চিঠি করবো। আদালতে যাব, আদালতের অনুমতি নেব এবং ওই বাড়িতেও যাব। তিনি বলেন, পুলিশকে আগে থেকে জানানো ছিল, তারপরও বাধার মুখে পড়তে হয়েছে তাঁকে।
যে চিকিৎসকের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন সুকান্ত মজুমদার তিনি তৃণমূল সাংসদের প্রতিবেশী। সেই কারণেই কি কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে আটকানো হয়েছে? এই প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার বলেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিবেশীকে গ্রেফতার করেছে, যে ব্যক্তি তার নিজের প্রতিবেশীর খোঁজ নেন না সে জনগণের হতে পারে? আমি পশ্চিমবঙ্গের মানুষের কাছে এই প্রশ্নটা করতে চাই। একজন সাংসদ, যিনি তার প্রতিবেশীর খবর রাখেন না, প্রতিবেশীকে গ্রেপ্তার করান, তার সম্পর্কে কী বলা যায়? কোন কারণে আমাদের গ্রেফতার করেছে পুলিশ সেটা এখনো পর্যন্ত জানাননি আমাকে। এরপরই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, পিসির আঁচলের তলায় থেকে হাড়ু-ডু খেলতে বলুন। সকাল বেলায় জিমে গিয়ে ব্যায়াম করতে বলুন এবং সাপ্লিমেন্ট খেতে বলুন, ওই দিয়ে ওনার চলবে। আমি ওই বাড়িতে যাব, অবশ্যই যাব। তার জন্য আদালতের দ্বারস্থ হবো।
তাঁর কথায়, আমাদের যেভাবে হেনস্থা করা হয়েছে এটা মেনে নেওয়া যায় না। গণতন্ত্র আরও একবার ভূলুন্ঠিত হলো।