আমাদের ভারত, ৩ এপ্রিল: গতকাল রিষড়ায় রামনবমীর মিছিলে হামলা হয়। হামলায় আহতদের দেখতে আজ সেখানেই যাচ্ছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। কিন্তু কোন্নগরেই পুলিশ রাস্তায় ব্যারিকেড করে তাঁকে আটকে দেয়। প্রতিবাদে সেখানেই বসে পড়ে বিক্ষোভ দেখান তিনি। তাঁর সঙ্গে যোগ দেন সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো এবং বিজেপির নেতা কর্মীরা। প্রতিক্রিয়ায় সুকান্তবাবু বলেন, মমতার মধ্যে দেশ ভাগের খলনায়ক সোহরাওয়ার্দীকে দেখতে পাচ্ছি।
গতকাল রিষড়ার বাঙ্গুর পার্ক থেকে রামনবমীর মিছিল বেড়িয়েছিল। বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ তাঁর নেতৃত্বে ছিলেন। সেই মিছিল ওয়েলিংটন জুট মিলের কাছে আসতেই অশান্তি শুরু হয়। মিছিল লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি, গাড়ি ভাঙ্গচুর এবং অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। বেশ কয়েকজন রামভক্ত আহত হন। পুরশুড়ার বিধায়ক বিমান ঘোষ আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন। আজ তাঁকে দেখতে গিয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
আহত কর্মীদের সঙ্গে দেখা করতে কলকাতা থেকে রওনা দিয়েছিলেন সুকান্তবাবু। কিন্তু কোন্নগরে পৌঁছনোর পরই রাস্তায় ব্যারিকেড করে তাঁকে আটকে দেয় পুলিশ। এই নিয়ে পুলিশের সঙ্গে বচসা বাধে তাঁর। তিনি বলেন, কোন্নগরে ১৪৪ ধারা না থাকা সত্বেও কেন এখানে আটকানো হচ্ছে? প্রতিবাদে রাস্তায় বসে পড়ে বিক্ষোভ দেখান তিনি। তাঁর সঙ্গে যোগ দেন সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো এবং বিজেপি কর্মীরা।
সুকান্ত মজুমদার বলেন, মমতার মধ্যে দেশ ভাগের খলনায়ক সোহরাওয়ার্দীকে দেখতে পাচ্ছি। স্বাধীনদেশে সংখ্যালঘু আর সংখ্যাগুরু বলে কিছু হয় নাকি? এসব তো দেশ ভাগের সময় জিন্না, সোহরাওয়ার্দী বলত। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মধ্যে আমি দেশ ভাগের খলনায়ক সোহরাওয়ার্দীকে দেখতে পাচ্ছি।
সুকান্তবাবু পুলিশের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ করে বলেন, পুলিশ পক্ষপাতদুষ্ট হয়ে কাজ করছে। কোন্নগরে ১৪৪ ধারা জারি নেই তবু পথ আটকেছে। গতকাল যারা হামলা করেছিল তাদের গ্রেফতার করলেই পরিস্থিতি শান্ত হয়ে যেত, কিন্তু পুলিশ তা করছে না। উলটে যারা আক্রান্ত সেই এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। এই পরিস্থিতি আমাকে কাশ্মীরের কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে। তিনি বলেন, এরপরে পুলিশ হয়ত বিজেপি নেতাদের বাড়ি থেকেই বেরোতে দেবে না। পরে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানোর হয় পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে তাঁকে যেতে দেওয়া হবে।