আমাদের ভারত, ১০ জুলাই: তৃণমূলের দুর্নীতির চিরকূট প্রকাশ্যে এনে সত্যতা জনসমক্ষে আনার দাবি করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ডঃ সুকান্ত মজুমদার।
তিনি লিখেছেন, “এই গোপন চিরকুট রিসিপ্ট শুধু বাংলার মেধাবী যোগ্যতাসম্পন্ন যুবসমাজকে প্রতারিত করতে তৃণমূলের ‘বৃহত্তর চক্রান্ত’—র একটি দলিল নয়, বরং একটি চাক্ষুষ প্রমাণ, কিভাবে জেলায় জেলায় বিজেপি কার্যকর্তাদের উপর সরকারি জুলুম অব্যাহত রয়েছে!
চিরকুটের লেখা অনুযায়ী, দক্ষিণ দিনাজপুরের কুমারগঞ্জে পশ্চিমবঙ্গ বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার স্টেশন ম্যানেজার ‘গোপন চিরকুটে’ মফেজবাবুকে (জেলা পরিষদের তৎকালীন পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ এবং বর্তমানে তৃণমূল কংগ্রেসের দক্ষিণ দিনাজপুর সাধারণ সম্পাদক) জানাচ্ছেন— কর্মী নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ের জন্য তাঁর পাঠানো লোকের থেকে তিনি ৬ লক্ষ ৫২ হাজার টাকা পেয়ে গিয়েছেন!
পাশাপশি— মফেজবাবু এবং তৃণমূল বিধায়ক তোরাফ হোসেন মন্ডলের নির্দেশ মতো বিজেপির একজন সক্রিয় মণ্ডল সভাপতির বিরুদ্ধে বিদ্যুৎ চুরির মতো গুরুতর অভিযোগ থানায় দায়ের করা হয়েছে এবং তার বিরুদ্ধে আড়াই লক্ষ টাকা ফাইনও করা হয়েছে, এবং বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্নও করা হয়েছে! কিন্তু বিজেপির সেই মণ্ডল সভাপতি আদালতে গিয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ পুনরায় চালু করার জন্য রায় নিয়ে এসেছেন। এখন স্টেশন ম্যানেজার এই বিষয়টি স্থানীয় বিধায়ককে দেখতে অনুরোধ করছেন।
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এবং মুখ্যসচিবকে অবিলম্বে, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এই চিরকুটের সত্যতা জনসমক্ষে আনতে হবে। কিভাবে একটি স্থানীয় তৃণমূল নেতা এবং বিধায়কের সুপারিশে বিরোধী রাজনৈতিক দলের কর্মীর উপর প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে বিদ্যুৎ চুরির মিথ্যা কেস দেওয়া হয়, এবং বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার দফতরে টাকা পৌঁছে দিয়ে নিয়োগ করা হয় তা সামনে আসা দরকার। না হলে এই দুর্নীতি এবং প্রতিহিংসামূলক আচরণের বিরুদ্ধে আমরা কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেবো।”