আমাদের ভারত, ৫ অক্টোবর: জগদ্ধাত্রী পুজোর বিসর্জনের শোভাযাত্রায় পুলিশের লাঠিচার্জ ও এক হিন্দু মহিলাকে হেনস্তার প্রতিবাদে নদীয়ার কৃষ্ণনগরের কোতোয়ালি থানা ঘেরাও করে বিজেপি। কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা সুকান্ত মজুমদারের নেতৃত্বে মিছিল করা হয়। সেখান থেকে কোতোয়ালি থানার আইসি’কে ৭২ ঘন্টার মধ্যে সরিয়ে দেওয়ার দাবি করেন সুকান্তবাবু।
থানা থেকে কিছুটা দূরে মিছিল এলে বাধা দেয় পুলিশ। মঞ্চে দাঁড়িয়ে কোতোয়ালি থানার আইসি বদলের দাবি জানান সুকান্ত মজুমদার।
শনিবার জগদ্ধাত্রী পুজোর বিসর্জন চলাকালীন কৃষ্ণনগরে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। বিসর্জনে আসা মানুষের উপর লাঠিচার্জের অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। ভাসানে আসা মানুষের সাথে পুলিশ অভব্য আচরণ ও অশালীন ভাষা ব্যবহার করেছে বলে অভিযোগ। এই ঘটনার প্রতিবাদে বুধবার কোতোয়ালি থানা ঘেরাও করে বিজেপি। সেই কর্মসূচি ঘিরে উত্তপ্ত হয় পরিস্থিতি। পুলিশকে সরাসরি হুঁশিয়ারি দেন সুকান্ত মজুমদার।
বিজেপির মিছিল থানা চত্বরে পৌছালে পুলিশের সঙ্গে দলের কর্মী সমর্থকদের বচসা বাধে। বেসামাল পরিস্থিতি তৈরি হয়। পুলিশের বিরুদ্ধে ফের একবার খারাপ ব্যবহারের অভিযোগ করে পদ্ম শিবির। সুকান্ত মজুমদার পুলিশের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ৭২ ঘণ্টার মধ্যে কোতোয়ালি থানার আইসি’কে পরিবর্তন করা না হলে আন্দোলন বৃহত্তর হবে।

তিনি বলেন, কোতোয়ালি থানার আইসি অসভ্য ব্যবহার করেছেন। কৃষ্ণনগরের মানুষ, বিশেষ করে মহিলাদের প্রতি খারাপ আচরণ করেছে। তার বিরুদ্ধে আজকের কর্মসূচি ছিল। আর এখানে পুলিশ স্বীকার করে নিয়েছে যে তাদের পুলিশ মন্ত্রী অপদার্থ। তিনি জানান,কোতোয়ালি থানার পুলিশ বলেছে, তারা ২৪ জন মিলে ২৪ হাজার লোক সামলান। এমন অবস্থা হলে পুলিশ এবং পুলিশ মন্ত্রীকে অপদার্থ বলতেই হবে। এরকম পুলিশ বাহিনী না থাকাই ভালো।
পুলিশ’কে ফের একবার দলদাস বলে কটাক্ষ করেন সুকান্ত মজুমদার। ২৪ জনকে ২৪ হাজার লোক সামলাতে হবে কেন? এটাতো পুলিশেরই ব্যর্থতা। কিন্তু এসব না দেখে পুলিশ দালালি করছে। ডিএ পাচ্ছে না, এদিকে তৃণমূলকে ভোট দিচ্ছে। সুকান্ত মজুমদার বলে, এবার তৃণমূলকে না দিয়ে বিজেপিকে ভোট দিন। ২৪০০ পুলিশের ব্যবস্থা করবে তারা।
প্রসঙ্গত, ৩১ অক্টোবর রাজ্য পুলিশের তরফে আগেই জানানো হয়, কৃষ্ণনগরের কদমতলা ঘাটে জগদ্ধাত্রী প্রতিমা নিরঞ্জন চলছিল। সেই সময় চকেরপাড়া বারোয়ারি ক্লাবের বেশ কয়েকজন ঘাটে থাকা মহিলাদের হেনস্তা করে। মহিলা পুলিশ কর্মী তাতে বাধা দিতে গেলে তাকেও হেনস্থার চেষ্টা করা হয়। সেই সময় পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে।

