আমাদের ভারত, ২১ আগস্ট: আর জি কর কান্ডের প্রতিবাদে শ্যামবাজারে ধর্নায় বসেছে বিজেপি। সেখান থেকে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় একাধিক বিস্ফোরক দাবি করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তাঁর দাবি, আর জি করের নির্যাতিতার ময়নাতদন্ত এককথায় অবৈধ। একই সঙ্গে তাঁর দাবি, আরজি করের একাধিক ইন্টার্নের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে বিপুল পরিমাণ টাকা আছে। এমনকি সেই টাকা তৃণমূল নেতাদের অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার হয়েছে। তাঁর দাবি, এই বিষয়ে তদন্ত করা দরকার।
আরজি কর নিয়ে যখন রাজ্য উত্তাল তখন বুধবার আনন্দপুরে ফের এক মহিলার রক্তাক্ত ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার হয়েছে। এক্ষেত্রেও অভিযোগ উঠেছে তড়িঘড়ি পুলিশ এই দেহ সরিয়ে ফেলার চেষ্টা করেছে। এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেছেন, “সব জায়গাতেই বডি তাড়াতাড়ি ডিসপোজ করে দেওয়ার চেষ্টা করছে পুলিশ।” তাঁর দাবি, আজ যদি আর জি করের নির্যাতিতার বডি আরো একবার ময়না তদন্ত করানো যেতো তাহলে অন্য আরও তথ্য হয়তো উঠে আসত। তাঁর দাবি, ওই ময়না তদন্ত সম্পূর্ণ অবৈধ। কারণ সন্ধ্যে ছ’টার পর ময়না তদন্ত হয়েছে।আদালতে স্ট্যান্ডিং ভারডিক্ট রয়েছে ময়না তদন্ত দিনের বেলায় করতে হবে। দিনের বেলায় যদি না করা যায় সে ক্ষেত্রে বিশেষ অনুমতি নিতে হবে। সুকান্ত মজুমদারের প্রশ্ন, এত তাড়াহুড়ো কেন? তাড়াতাড়ি বডি ডিসপোজ করার আসল উদ্দেশ্যটা কী?নির্ভয়া কান্ডে দু’বার ময়নাতদন্ত হয়েছে। অনেক রেপ কেসেই এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে। এক্ষেত্রে যদি দুবার ময়নাতদন্ত হতো তাহলে অসুবিধাটা কোথায়? কেন তথ্য গোপন করার চেষ্টা চলছে?
অন্য আরও একটা বিস্ফোরক দাবি করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। তিনি বলেন, “আমরা এখন বেশ কিছু নতুন নতুন তথ্য পাচ্ছি। বেশ কিছু ইন্টার্নের নাম উঠে আসছে, যাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট একবার চেক করা উচিত। আমাদের কাছে বিশ্বস্ত সূত্রে খবর, কয়েকজন আরজিকর মেডিকেল কলেজের ইন্টার্ন, যাদের অ্যাকাউন্ট
এসবিআইতে রয়েছে, এই অ্যকাউন্টে তাদের বিপুল পরিমাণ টাকা আছে। অথচ তাদের মাইনে ৪০ হাজার টাকা। এমনকি সেই অ্যাকাউন্ট থেকে বেশ কিছু তৃণমূল নেতার অ্যাকাউন্টে টাকা ট্রান্সফার হয়েছে এরকম খবর পাচ্ছি।” তাঁর দাবি, এইসব বিষয়ে তদন্ত হওয়া দরকার। পুলিশের বিষয়টি দেখা দরকার।