Sukanta, Suvendu, BJP, সরস্বতী প্রতিমার শাড়ি খুলে ফেলার অভিযোগ জেহাদিদের বিরুদ্ধে! ডায়মন্ড হারবারের ঘটনায় সরব সুকান্ত- শুভেন্দু

আমাদের ভারত, ৪ ফেব্রুয়ারি: পশ্চিমবঙ্গকে পশ্চিম বাংলাদেশ তৈরি করে ফেলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হরিণঘাটার পর খাস কলকাতায় সরস্বতী পুজোয় বাধা দেওয়ার ঘটনায় এভাবেই সরব হয়েছিলেন সুকান্ত মজুমদার। পুজোয় বাধা দেওয়ার অভিযোগ এসেছে রাজ্যের শাসক দলের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নেতাদের বিরুদ্ধেই। এবার সরস্বতী পুজোয় কেবল বাধা নয় প্রতিমাকে বিবস্ত্র করার অভিযোগ তুলে সরব হলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

সরস্বতী পুজোর আগে হরিণঘাটায় একটি স্কুলে ঢুকে স্কুলের প্রধান শিক্ষক সেখানকার তৃণমূল নেতা আলিমুদ্দিন সরস্বতী পুজো বন্ধ করতে বলে হুমকি দেন। সংবাদ মাধ্যমের সামনে এই ঘটনা ঘটতেই তা ছড়িয়ে পড়ে। বিতর্ক শুরু হয় এই ঘটনায়। পরে পুলিশের পাহারায় স্কুলে পুজো হয়। এদিকে পুজোর টাকার ভাগ চেয়ে খাস কলকাতায় যোগেশচন্দ্র ল’ কলেজেও পুজো করতে দিতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা সাব্বির আলির বিরুদ্ধে। ছাত্রীদের ধর্ষণের হুমকিও দেয় সে। এই ঘটনায় রাজ্য রাজনীতিতে ঝড় ওঠে। বিজেপি নেতৃত্ব সরব হন। সুকান্ত মজুমদার, বলেন বাংলাদেশের মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে খাস কলকাতায়। যোগেশচন্দ্র কলেজেও পুলিশের পাহারায় পুজো করতে হয়।

কিন্তু ডায়মন্ড হারবারের ঘটনা সবকিছুকে ছাপিয়ে গেছে। বিষ্ণুপুর বিধানসভা এলাকায় মৌদিহাটে দেবী সরস্বতীর প্রতিমার শাড়ি খুলে বিবস্ত্র করার অভিযোগ উঠছে জেহাদিদের বিরুদ্ধে। এই ঘটনার ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে সরব হয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। দু’জনে বাংলাদেশের হিন্দুদের পরিস্থিতির সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের হিন্দুদের তুলনা টেনে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। একই সঙ্গে হিন্দুদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখানোর চেষ্টা করছেন আগামীতে বাংলাদেশের হিন্দুদের মতো অবস্থায় পৌঁছে যাবে পশ্চিমবঙ্গের হিন্দুদের অবস্থাও।

সুকান্ত মজুমদার লিখেছেন, পশ্চিমবঙ্গে জিহাদি বর্বরতা সকল সীমা ছাড়িয়ে গেছে। এমনকি দেবী সরস্বতীও পশ্চিমবঙ্গে জিহাদিদের আক্রমণ থেকে নিরাপদ নন।মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পৃষ্ঠপোষকতায় অত্যাচারী, বর্বর ‘দুধেল গাই’ অত্যধিক বেড়েছে। ডায়মন্ড হারবারের বিষ্ণুপুর বিধানসভা এলাকায়, মৌদিহাট যুবক সংঘ কর্তৃক আয়োজিত সরস্বতী পূজোর সময়, প্রতিমার শাড়ি খুলে ফেলা হয়েছিল। যার ফলে দেবী সম্পূর্ণরূপে বস্ত্রহীন হয়ে পড়েছিলেন। সাম্প্রতিক সময়ে জিহাদি মৌলবাদীদের দ্বারা আক্রমণের মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গে সনাতন হিন্দুদের বিশ্বাসকে আক্রমণ করার প্রতিযোগিতা চলছে। এই ঘটনাটি এই ভয়াবহ প্রবণতার সর্বশেষ সংযোজন। ভাবতেও অবাক লাগে যে এটি পশ্চিমবঙ্গে ঘটছে। বাংলাদেশি জিহাদি দলগুলির মতো বাংলার বিভিন্ন অংশে সরস্বতী পুজোয় বারবার তীব্র আক্রমণের প্রচেষ্টা স্পষ্ট করে দেয় যে আগামী দিনে হিন্দুদের আরও কত নৃশংস নির্যাতন সহ্য করতে হবে। এটি আবারও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে যে দুটি দেশের মধ্যে কোনও পার্থক্য নেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আর ইউনুস। লজ্জা!”

অন্যদিকে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী লিখেছেন, পশ্চিমবঙ্গে সরস্বতী পুজো করতে বাধা দেওয়া হয়” এই সত্যকে খন্ডন করতে মমতা ব্যানার্জি কখনো বিজেপি মিথ্যাচার করছে বলে দাগিয়ে দেন, কখনো বা বিজেপির এজেন্ডা বলে চালানোর চেষ্টা করেন। সরকার ও প্রশাসনের মাথায় বসে আসলে তিনিই যে মিথ্যাচার করে যাচ্ছেন দিনের পর দিন আজ কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের আপামর জনগণ বিলক্ষণ বুঝতে পারছেন। তাঁর কাছে সনাতন ধর্মের মানুষের ধর্মাচরণের স্বাধীনতার অধিকারের কোনো মূল্য নেই, কারণ তাঁকে চেয়ারে বসে থাকতে হবে, ভোটের রাজনীতি করতে হবে, তাই তিনি জেহাদিদের অবাধ বিচরণের অনুমতি দিয়ে রেখেছেন। তাই এদের দাপাদাপিতে হিন্দুরা ধর্মাচরণ, পুজাঅর্চনা টুকু করতে বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছেন, হুমকির মুখে পড়ছেন, যার নবতম সংযোজন হলো ডায়মন্ড হারবারের বিষ্ণুপুর বিধানসভার ঘটনা। বিষ্ণুপুর থানার অন্তর্গত মৌদিহাট যুবক সংঘ ক্লাবের সামনের আয়োজিত সরস্বতী পুজোয় প্রতিমার শাড়ি খুলে প্রতিমাকে বিবস্ত্র করল জেহাদিদের দল। এভাবেই প্রতিদিন হিন্দুদের আস্থা এবং ধর্মের উপর আঘাত হানা হচ্ছে। একপাশে ওপার বাংলায় সরস্বতী পুজোয় বই পোড়াচ্ছে, আর এপার বাংলায় প্রতিমার বস্ত্র খুলছে ! যাহা ইউনুস, তাহাই মমতা।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *