আমাদের ভারত, ৫ অক্টোবর:
নবদ্বীপে সুকান্ত মজুমদারের কনভয়ে হামলার ঘটনা ঘটেছে বুধবার রাতে। ঘটনায় অভিযোগের তীর তৃণমূলের দিকে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে নবদ্বীপ বাস স্ট্যান্ড এলাকায় তুলকালাম পরিস্থিতি তৈরি হয়। হামলায় দলের কর্মীরা জখম হয়েছে বলে জানিয়েছেন সুকান্ত মজুমদার।
কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদারের কনভয়েয হামলার ঘটনা ঘটলো বুধবার রাতে। এদিন নদীয়ায় পরপর কর্মসূচি ছিল সুকান্ত মজুমদারের। সেখান থেকে ফেরার পথে এই ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ। ঘটনায় আহত হয়েছেন দুই বিজেপি নেতা। সুকান্ত মজুমদারের অভিযোগ তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতিরা এ ঘটনা ঘটিয়েছে। হামলাকারীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে বিজেপি। একাধিক গাড়িতে ভাঙ্গচুর চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ।

প্রথমে নদীয়া তাহেরপুর একটি কর্মসূচি ছিল সুকান্ত মজুমদারের। পরে জগদ্ধাত্রী পুজোর বিসর্জনে পুলিশের বিরুদ্ধে লাঠিচার্জের অভিযোগ ওঠায় কৃষ্ণনগরে কোতোয়ালি থানা ঘেরাওয়ের কর্মসূচি ছিল। সেখান থেকে সুকান্তবাবু পৌঁছান নবদ্বীপে। এখানে রাস উৎসব চলছে। লক্ষ লক্ষ মানুষের ভিড়।
নবদ্বীপে সরকার পাড়ায় বিজেপির উদ্যোগে যাত্রী নিবাস নামে একটি কর্মসূচি চলছিল। সেখানে গিয়েছিলেন সুকান্ত মজুমদার। সেখান থেকে বেরিয়ে সুকান্তবাবুর কনভয়ের গাড়িগুলি বাসস্ট্যান্ডের কাছে ঘোরানোর সময় কনভয় লক্ষ্য করে ইট ছোড়া হয়।

যে ছবি, ভিডিও পাওয়া যাচ্ছে তাতে দেখা যাচ্ছে দুষ্কৃতীদের হাতে লাঠি ছিল। গাড়ি থেকে নেমে যান সুকান্তবাবু। তিনি বলেন, দুই কর্মীর মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে। আমি পুলিশ প্রশাসনকে জানিয়ে দিতে চাই তারা যদি কোনও কড়া ব্যবস্থা না নেয় তাহলে রক্তের হিসেব আমরা বুঝে নেব। যদি অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার না করা হয়, তাহলে আমরাই ব্যবস্থা নেব, বিজেপি সে ক্ষমতা রাখে।
এরপরই সুকান্তবাবুর উপস্থিতিতেই ক্ষুব্ধ বিজেপি কর্মীরা পাশেই আইএনটিটিইউসি পার্টি অফিসে হামলা করে। পার্টি অফিসে ব্যাপক ভাঙ্গচুর করে এবং তৃণমূল কর্মীদের মারধর করে।

কিছুদিন আগে উত্তরবঙ্গে বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ ও সাংসদ খগেন মুর্মুর উপরে ব্যাপক হামলা হয়েছিল। তাতে গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন খগেন মুর্মু। তারপর আবারও হামলার শিকার হলেন সুকান্ত মজুমদার।

