আমাদের ভারত, ২২ ডিসেম্বর: জল জীবন মিশন নিয়ে সংসদে প্রশ্ন উত্তর পর্বে কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়েছিল। বাংলার তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ খলিলুর রহমান প্রশ্ন উত্তাপিত করেছিলেন। যার জবাব দিয়েছেন বিজেপির জল শক্তি মিশনের প্রতিমন্ত্রী। এই প্রকল্পের কাজ কতদূর হয়েছে তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। সেখানে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কাজে যে ঢিলেমি চলছে সেটা উঠে এসেছে বলে দাবি করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। আর এই অভিযোগ তিনি করেছেন তৃণমূল সাংসদের তোলা সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বের নথি তুলে ধরে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের দাবি, জল জীবন মিশন- এর কাজ দ্রুত গতিতে চলছে। তার জন্য পৃথক কমিটি গঠন করে কাজের নজরদারি করা হচ্ছে। করোনা ভাইরাসের সময় এই কাজে ঢিলেমি হয়েছিল, কারণ তখন কাজ করার ক্ষেত্রে বেশ ভয় ছিল। এখন সেই ভয় নেই, তাই দ্রুত গতিতে কাজ চলছে। কিন্তু সুকান্ত মজুমদার লিখেছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে আরেকটা সেটব্যাক হলো পশ্চিমবঙ্গের। জল জীবন মিশন প্রকল্প বাস্তবায়িত করতে ঢিলেমি দেখা গেছে রাজ্য সরকারের। এই প্রকল্প চালু হয়েছিল কলের জল গ্রামীণ বাড়িগুলিতে পৌঁছে দেওয়ার জন্য। কিন্তু এর অগ্রগতি বেশ চিন্তার।
সম্প্রতি বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জল জীবন মিশন প্রকল্পে কোনো সময় নষ্ট করা বরদাস্ত করবে না বলে প্রশাসনিক বৈঠকে বলেছেন। তাই দ্রুত কাজ চলছে। বরং কেন্দ্র সরকার টাকা দিচ্ছে না বলে অভিযোগ তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। অথচ সেখানে লোকসভায় প্রশ্নোত্তর পর্বের নথি তুলে ধরে বালুরঘাটের বিজেপি সাংসদ এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, ২০১৯ সালের আগস্ট মাসে যখন এই প্রকল্প শুরু হয়েছিল তখন ২.১৪ লাখ গ্রামীণ মানুষ কলের জল পেয়েছিলেন। ২০২৪ সালে ডিসেম্বর মাসে ৫৩.৬৪ শতাংশ মানুষ বাংলা কলের জল পরিষেবা পেয়েছেন। এখন ৪৬.৩৬ শতাংশ কাজ বাকি। এছাড়া এই বাকি থাকা অংশের মানুষ এখন বিশুদ্ধ পানীয় জল পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ করেছেন সুকান্তবাবু। হিসেব তুলে ধরে সুকান্ত মজুমদার লিখেছেন, এই প্রকল্পের আওতায় জাতীয় স্তরে গড়ে কাজ হয়েছে ৭৯.২২ শতাংশ। সেখানে পশ্চিমবঙ্গে কাজ হয়েছে ৫৩.৬৪ শতাংশ। যেখানে পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে ২০২৬ সালের মধ্যে গোটা কাজটি শেষ করতে হবে, সেখানে অর্ধেক গ্রামীণ বাড়িতে তা পৌঁছায়নি। এই ঢিলেমির প্রশ্ন তুলে দিচ্ছে রাজ্য সরকারের পরিষেবা দেওয়া নিয়ে। তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ খলিলুর রহমানের দেওয়া তথ্য থেকে বিষয়টি তুলে ধরা হলো।
এক্স হ্যান্ডেল এ দাবি তুলে ধরে বাংলার তৃণমূল সরকারকে আক্রমণ শানিয়েছেন বালুরঘাটে সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। একই সঙ্গে এই প্রকল্প সময়ের মধ্যে শেষ হবে কিনা তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন তিনি।