আমাদের ভারত, ১২ মার্চ: শুভেন্দু অধিকারীকে কাক বলে কটাক্ষ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দল বদলের প্রসঙ্গ তুলেও কটাক্ষ করেছেন তিনি। এই ইস্যুতে বিরোধী দলনেতার পাশে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
সংখ্যালঘু বিতর্কে বিধানসভার অন্দরের শাসক ও বিরোধী দলের বিধায়কদের মধ্যে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে বিভাজনের নীতি কার্যকরের অভিযোগ তোলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নাম না করে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকেও বিঁধতে থাকেন। বলেন কাক যদি ময়ূরের পুচ্ছ লাগিয়ে ময়ূর হতে চায় তাহলে কিছু বলার নেই। আপনি চাইলে অন্ধকার নিয়ে বাঁচুন আপনি চাইলে কুৎসা নিয়ে বাঁচুন কিন্তু দেশকে নষ্ট করবেন না। শুভেন্দু অধিকারীর নাম না করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,” ইটস বেটার টু ইগনোর হিম। কংগ্রেসে ভবিষ্যৎ নেই বলে তৃণমূলে আসে। তৃণমূলকে ঘেঁটে দিয়ে বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল। এবার আবার অন্য দলে যাওয়ার রিকুয়েস্ট এলো বলে।”
এই মন্তব্যের পাল্টা জবাব দিয়ে সুকান্ত মজুমদার বলেন, “যিনি নিজে কাঁচের বাড়িতে থাকেন তার অন্যের বাড়িতে ঢিল মারা উচিত নয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে এক সময় কংগ্রেস করতেন কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেস করেছেন। বিজেপির সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়ে লড়েছেন। সরকারেও থেকেছেন, মন্ত্রী থেকেছেন। আবার কংগ্রেসের সঙ্গে জোড়াতালি সরকার তৈরি করেছিলেন সমঝোতা করে। আবার সেই কংগ্রেসকেই প্রয়োজন ফুরাতেই লাথি মেরেছিলেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেই নেত্রী যিনি বারবার নিজের প্রয়োজনে দল পরিবর্তন করেছেন, বিভিন্ন দলের সঙ্গে বিভিন্ন রকমের সম্পর্ক রেখেছেন। সুকান্ত মজুমদার প্রশ্ন তুলেছেন, সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কি অন্যকে কিছু বলার কোনো রকম নৈতিক অধিকার আছে?