আমাদের ভারত, ২৩ জানুয়ারি: এই মুহূর্তে তিনি বঙ্গ বিজেপির সেনাপতি। সেই দায়িত্ব যেমন সামলাচ্ছেন তার সঙ্গে তিনি কেন্দ্রের দুটি দপ্তরের প্রতিমন্ত্রীও। সেই সুকান্ত মজুমদারকে তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ রাজনীতির নবজাতক বলেছেন। বৃহস্পতিবার কুণাল ঘোষের সেই বক্তব্যের পাল্টা জবাবও দিয়েছেন বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। একেবারে হিসেব কষে বুঝিয়ে দিয়েছেন কাকে কতবার তিনি হারিয়েছেন। কতদিন তিনি রাজনীতি করছেন। একইসঙ্গে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে কুণাল ঘোষের প্রশংসারও জবাব দিয়েছেন তিনি।
সুকান্ত মজুমদার এদিন চূড়ান্ত ভাবে বিঁধেছেন কুণাল ঘোষকে। তৃণমূলের নেতা তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী বিপ্লব মিত্র’কে লোকসভা ভোটে যে তিনি হারিয়েছেন সে কথাও মনে করিয়ে দিয়েছেন সুকান্ত মজুমদার। একইসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্কুল থেকে শুভেন্দু এসেছেন তা নিয়ে কুণাল যে প্রশংসা করেছেন তার উত্তরও দিয়েছেন।
বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে ব্যস্ততম নেতা বলেছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।ঠিক তারপরই শুভেন্দুর প্রশংসা করে শাসক দলের নেতা কুণাল ঘোষ বলেছিলেন, “যেহেতু শুভেন্দু মমতার স্কুলের ছাত্র, ভালো স্কুলের তো একটা ছাপ থাকবে। দেখতে হবে কোন স্কুলের অভিজ্ঞতা হয়েছে।” সুকান্ত মজুমদার তার জবাবে বলেছেন, তার নিজের বয়স ৪৫। আর বিপ্লব মিত্র তত বছর রাজনীতি করছেন। উনিও শুভেন্দুবাবুর মত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছ থেকে ট্রেনিং নিয়েছেন। ওর জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, দেব নিজে প্রচারে এসেছেন। কিন্তু তারপরেও জেতেননি।” সুকান্ত মজুমদার বলেন, বিজেপির নবজাতকের যদি এতটা পাওয়ার হয় তাহলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্কুল নিয়ে প্রশ্ন ওঠে? বিপ্লব মিত্রকে শ্রদ্ধা করি। ৪৫ বছর রাজনীতি করেছেন। তারপরেও তিনি জেতেননি। তাহলে বন্দে মে কুছ দম হে।”
একই সঙ্গে তিনি কুণালের উদ্দেশ্যে বলেছেন, “২২ বছর সংগঠনে কাজ করেছি। ওর মতো সাংবাদিকতা থেকে রাজনীতিতে আসেনি।”