৩০ টাকার টিকিট কেটে রাতারাতি কোটিপতি বালুরঘাটের কলেজ পড়ুয়া সুজয়, রাজমিস্ত্রীর কাজও করে পরিবারের অভাব মেটাতে

পিন্টু কুন্ডু, বালুরঘাট,৩১ অক্টোবর: ৩০ টাকার টিকিট কেটে রাতারাতি কোটিপতি রাজমিস্ত্রী সুজয়। ভয় আতঙ্কে বালুরঘাট থানার দ্বারস্থ ওই কলেজ পড়ুয়া। যদিও ঘটনা জানবার পরেই ওই যুবকের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করেছে বালুরঘাট থানার পুলিশ।

জানা গিয়েছে, বালুরঘাটের ডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েতের বেলঘরিয়া এলাকার বাসিন্দা তথা কলেজ পড়ুয়া সুজয় পাহান। পতিরাম কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। পারিবারিক অনটনের কারনে রাজমিস্ত্রীর কাজের সাথেও যুক্ত হয়েছে সুজয়। শনিবার কাজ থেকে বাড়ি ফিরবার সময় ৩০ টাকা দিয়ে একটি লটারি কেটেছিলেন তিনি। সকালে যার রেজাল্ট দেখতে গিয়েই চক্ষুচড়ক গাছ সুজয় ও তার পরিবারের। প্রথম পুরস্কারের এক কোটি টাকা মিলে যায় তার ওই টিকিটে। বিষয়টি চারদিকে জানাজানি হতেই আতঙ্কে কিছুটা শিউরে উঠেন সুজয় ও তার পরিবারের লোকজন। এরপর আর দেরি না করে প্রথম পুরস্কারের সেই লটারির টিকিট নিয়ে সোজা হাজির হন বালুরঘাট থানায়। পুলিশের কাছে নিরাপত্তা চেয়ে এদিন সাতসকালে পরিবার নিয়ে হাজির হন ওই যুবক। যে ঘটনা সামনে আসতেই কার্যত আলোড়ন পড়েছে গোটা দক্ষিন দিনাজপুর জেলায়। বাবা শয্যাশায়ী হওয়ায় পরিবারের একমাত্র আয়ের ভরসা ওই যুবক। কাজের টাকা দিয়ে সংসার চালানোর পাশাপাশি পড়াশুনাও চালান হতদরিদ্র সুজয়। এদিন লটারির প্রথম পুরস্কার পেয়েই স্বপ্নে বিভোর হয়েছে হতদরিদ্র পরিবারটি। ঘরবাড়ি করবার পাশাপাশি লটারির টাকা দিয়ে সংসারের হাল ফেরাতে চাইছেন অভাবী ওই পরিবার।

সুজয় ও তাঁর মা কুসুম পাহান বলেন, অনেক কষ্ট তাদের সংসারে। ত্রিশ টাকা দিয়ে একটি লটারি কেটেছিলেন। সাতসকালে যার খবর পেতেই আনন্দে বুক ভরে উঠেছে সকলের। পাশাপাশি বিপুল এই টাকা নিয়ে কিছুটা আতঙ্কিত বোধ করায় লটারির টিকিট নিয়ে সোজা থানায় হাজির হয়েছেন। সংসারের হাল ও ভবিষ্যতের পথ ঠিক করাই তাদের এখন মূল উদ্দেশ্য।

সোনা সরকার নামে এক প্রতিবেশী বলেন, সুজয়ের বাবা খুবই অসুস্থ। পরিবারের একমাত্র রোজগেরে সে নিজেই। খুব অভাবের মধ্যদিয়েই তাদের দিন চলে। এমন একটি পরিবার এই লটারি পাওয়ায় তারাও খুবই আনন্দিত। তবে তাদের প্রাপ্য লটারির টাকা নিয়ে যেন কোনও অশান্তি না হয় সেজন্য থানায় নিয়ে এসেছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *