আমাদের ভারত, উত্তর ২৪ পরগণা, ১২ ফেব্রুয়ারি: পারিবারিক অশান্তির জেরে চলন্ত ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী হলেন মছলন্দপুর এলাকার ব্যবসায়ী ও প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধান সুভাষ মুখ্যপাধ্যায় ওরফে চিনু মুখ্যপাধ্যায়। মৃত্যু কালে তাঁর বয়স ৬০। তাঁর আত্মহত্যার কারন নিয়ে এলাকায় ব্যপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
বুধবার সকাল ১০টা নাগাদ শিয়ালদাহ–বনগাঁ শাখার মছলন্দপুর স্টেশনের কাছেই চলন্ত ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দেন তিনি। ঘটনা স্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে জিআরপি দেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তে পাঠিয়ে দেয়। যদিও আত্মহত্যার কারন এখনও স্পট নয়।
স্থানীয় সূত্রের খবর, এদিন সকালে বনগাঁ গামী একটি ট্রেন স্টেশনে ঢোকার সময় প্ল্যাটফর্ম লাগোয়া রেলগেটের কাছে সুভাষবাবু চলন্ত টেনের সমানে ঝাঁপ দেন। ট্রেনের ধাক্কায় প্ল্যাটফর্মের মাঝে লাইনের উপর পড়েন। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। মৃত্যুর খবর পেয়ে কয়েক হাজার মানুষ স্টেশন চত্বরে ভির করে। অনেকেরই বক্তব্য, পারিবারিক অশান্তির করণে তিনি আত্মহত্যা করেছেন।
সূত্রের খবর, সুভাষবাবু এলাকায় ব্যাপক প্রভাবশালী ব্যক্তি ছিলেন। তিনি ৯০–এর দশকে মছলন্দপুর ১ নম্বর পঞ্চায়েতের কংগ্রেসের প্রধান ছিলেন। বর্ষীয়ান নেতা হিসাবেও তার প্রভাব ছিল এলাকায়। স্থানীয় বাসিন্দা রতন বিশ্বাস বলেন, মছলন্দপুর এলাকায় তার বিভিন্ন ব্যবসা আছে। এছাড়া এই এলাকায় বিরাট মার্কেটও তৈরি করছেন তিনি। এতো কিছুর পর কেন আত্মহত্যা করলেন তার পরিবারের লোকজন বলতে পারবেন।