আশিস মণ্ডল, আমাদের ভারত, ৬ জানুয়ারি: রেশন দুর্নীতি মামলার তদন্তে শুক্রবার সন্দেশখালির ১ নম্বর ব্লকের তৃণমূল সভাপতি তথা উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের মৎস্য কর্মাধ্যক্ষ শেখ শাহজাহানের সরবেড়িয়া গ্রামের বাড়িতে হানা দিয়েছিল ইডির গোয়েন্দারা। সঙ্গে ছিল আধা সামরিক বাহিনীর জওয়ানরাও। ভিতর থেকে সাড়াশব্দ না মেলায় দরজা ভাঙ্গার চেষ্টা করে ইডি। ঠিক সেই সময়েই তাঁদের ঘিরে ফেলে মারধর করা শুরু হয় বলে অভিযোগ।
সন্দেশখালিতে ইডির উপর আক্রমণের ঘটনায় কেন্দ্রীয় এজেন্সির ঘাড়েই দায় চাপিয়েছে তৃণমূল। দলকে শুক্রবারের ঘটনা থেকে বিচ্ছিন্ন করতে মরিয়া জোড়-ফুল নেতৃত্ব। কিন্তু, তাতেও চাপা অস্বস্তি কাটাতে পারছে না তৃণমূল। সন্দেশখালির প্রসঙ্গ উঠতেই বীরভূমের সাংসদ শতাব্দী রায় বললেন, ‘এই বোকামিতে খারাপ এফেক্টই হয়।’

শনিবার রামপুরহাটের বনহাট গ্রাম পঞ্চায়েতের হরিনাথপুর গ্রামে আদিবাসীদের বাদনা পরব উপলক্ষে নতুন বস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছিলেন বীরভূমের সাংসদ। সেখানেই সাংবাদিকদের সন্দেশখালি নিয়ে প্রশ্নের জবাবে শতাব্দী বলেন, ‘এই রকমের অ্যাটাক সমর্থনযোগ্য নয়। দল বলেনি এটা করতে। দল এই কাজ সমর্থনও করে না। কেউ যদি ব্যক্তিগত ভাবে এটা করে, সেটা তার নিজের দায়িত্বে। এতে দলের কোনও দায় নেই।’
সন্দেশখালির ঘটনাকে ‘প্ররোচনা’ বললেও ইডির উপর হামলায় যে দলের ভাবমূর্তি প্রশ্নের মুখে সেকথাও স্পষ্ট জানিয়েছেন এই তৃণমূল সাংসদ। বলেছেন, ‘এই বোকামিতে খারাপ এফেক্টই হয়। ক্ষতি তো হচ্ছেই। অলরেডি বিরোধীরা বলতে শুরু করেছে। জার্নালিস্টরা মাইক হাতে প্রশ্ন করার সুযোগ পাচ্ছেন।’
শুক্রবার তৃণমূল নেতার বাড়ির তালা ভাঙ্গার সময়েই ইডিকে ঘিরে ফেলে মারধর শুরু হয় বলে অভিযোগ। সরিয়ে দেওয়া হয় কেন্দ্রীয় বাহিনীকেও। এরপর ইডি আধিকারিকদের ধাওয়া করে এলাকা ছাড়তে বাধ্য করেন শাহজাহানের অনুগামীরা। ভাঙ্গচুর চলে গাড়িতে। সেই সময়েই তিন ইডি আধিকারিক জখম হন। মারধর করা হয় সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিদেরও। এই ঘটনায় রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা প্রশ্নের মুখে পড়ে। এখনও অধরা শাহজাহান শেখ।

