অনেক নিরীহ মানুষকে মিথ্যা মাওবাদী কেস দিয়ে জেল খাটিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী, নেতাইয়ে বললেন মন্ত্রী বিরবাহা হাঁসদা

অমরজিৎ দে, ঝাড়গ্রাম, ১ ফেব্রুয়ারি: বাংলার প্রতি বঞ্চনা ও কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন নীতির প্রতিবাদে এবং তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে কুৎসা ও অপপ্রচারের প্রতিবাদ জানিয়ে বুধবার তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বিনপুর এক ব্লকের লালগড়ের এসআই চক থেকে নেতাই পর্যন্ত পদযাত্রার আয়োজন করা হয়। পদযাত্রার শেষে নেতাই গ্রামে ধিক্কার সভার আয়োজন করে তৃণমূল কংগ্রেস। ওই ধিক্কার সভায় বক্তব্য রাখেন রাজ্যের মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা, তৃণমূল কংগ্রেসের ঝাড়গ্রাম জেলার সভাপতি বিধায়ক দুলাল মুর্মু, বিধায়ক দেবনাথ হাঁসদা, জেলাপরিষদের সভাধিপতি মাধবী বিশ্বাস, মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভানেত্রী নিয়তি মাহাতো সহ উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের অন্যান্য নেতারা।

পদযাত্রার শেষে ধিক্কার সভায় রাজ্যের মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা তীব্র ভাষায় রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে কটাক্ষ করেন। তিনি বলেন, মানুষ গদ্দারকে ভালো করে চিনে নিয়েছে। শুভেন্দু অধিকারী ভুলে গিয়েছেন একসময় জঙ্গলমহলের তৎকালীন এসপি, ভারতী ঘোষের হাত ধরে নিরীহ মানুষদের মাওবাদী কেস দিয়ে জেলে ঢুকিয়েছিলেন। যাদের এখন প্রতিনিয়ত আদালতে গিয়ে হাজিরা দিতে হচ্ছে। সেই ভারতী ঘোষও বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। আর উনিও বিজেপিতে গিয়েছেন। উনার মত গদ্দার পৃথিবীতে আর কেউ নেই। যে মানুষটা ওনাকে হাঁটতে শিখিয়েছেন সেই মানুষটার বিরুদ্ধে উনি মিথ্যা কথা বলে অপপ্রচার করছেন। তিনি হলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় না থাকলে শুভেন্দু অধিকারীকে কেউ চিনতো না। তাই চোরের মায়ের বড় গলা।

তিনি তাঁর বক্তব্যে শুভেন্দু অধিকারীকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করে বলেন, গত বছর ৭ ই জানুয়ারি উনি নেতাই আসতে পারেননি, গত বছরও তো ৩০শে জানুয়ারি ছিল কেন তিনি আসেননি। এ বছর ৭ই জানুয়ারি না এসে ৩০শে জানুয়ারি এসেছেন মানুষ এর বিচার করবে। তিনি মানুষকে শুভেন্দু অধিকারীর মিথ্যা প্রলোভনে পা না দেওয়ার জন্য আহ্বান জানান। সেই সঙ্গে তিনি বলেন, যারা জঙ্গলমহলকে উত্ত্যক্ত করার চেষ্টা করবে তাদের বিরুদ্ধে জঙ্গলমহলের মানুষ রুখে দাঁড়াবে। উন্নয়নের মাধ্যমে জঙ্গলমহলে শান্তি প্রতিষ্ঠা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই তিনি সর্বস্তরের মানুষকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে থাকার আহ্বান জানান। সেই সঙ্গে তিনি বলেন, যারা মানুষের পাশে থাকেনি মানুষকে নিয়ে রাজনীতি করেছে তাদের বিরুদ্ধে তিনি রুখে দাঁড়ানোর জন্য সকলের কাছে আহ্বান জানান।

তৃণমূল কংগ্রেসের ঝাড়গ্রাম জেলার সভাপতি বিধায়ক দুলাল মুর্মু বলেন, শুভেন্দু অধিকারী যেই পাতে খায় সেই পাতে পায়খানা করেন। তাই শুভেন্দু অধিকারীকে কোনো গুরুত্ব দিয়ে লাভ নেই। মানুষ তৃণমূল কংগ্রেসের পাশে রয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে রয়েছে। তাই হাজার হাজার মানুষ বুধবার নেতাই গ্রামের ধিক্কার সভায় সামিল হয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *