নীল বণিক, আমাদের ভারত, কলকাতা, ২৮ অক্টোবর: দিলীপ ঘোষের পদত্যাগের হুঁশিয়ারিতেও গদি রক্ষা হলো না সুব্রত চট্টোপাধ্যায়ের। বুধবার রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) সুব্রত চট্টোপাধ্যায়কে সরিয়ে দেয় কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। তাঁর জায়গায় নিয়ে আসা হয় রাজ্য বিজেপির সাধারণ সহ সম্পাদক অমিতাভ চক্রবর্তীকে।
আগামী বিধানসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখেই অমিতাভ চক্রবর্তীকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, বিগত লোকসভা নির্বাচনের আগেই সুব্রত চট্টোপাধ্যায়ে ডেপুটি করা হয়েছিল অমিতাভ চক্রবর্তীকে। সংঘের ছাত্রসংগঠন বিদ্যার্থী পরিষদ থেকে তিনি বিজেপিতে এসেছেন। টানা দু’বছর বিজেপিতে কাজ করার পর সংগঠনকে ভালোমতো রপ্ত করেছেন। আগাগোড়াই অমিতাভ চক্রবর্তী কেন্দ্রীয় নেতাদের সুনজরে ছিলেন। এর মধ্যেই অবশ্য সুব্রত চট্টোপাধ্যায়ের নামে ভুরিভুরি অভিযোগ পৌঁছাতে থাকে দিল্লির কাছে। সংঘের থেকেও সুব্রত চট্টোপাধ্যায়ের নামে অনেক আপত্তি ওঠে। সংঘের কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতাও তাঁকে সরানোর ব্যাপারে দিল্লি পর্যন্ত দৌড়াদৌড়ি করেন।
বিজেপি সূত্রের খবর কয়েক মাস আগেই দিল্লির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব ঠিক করেন সুব্রত চট্টোপাধ্যায়কে সংগঠনের থেকে সরিয়ে দেওয়া হবে। সেকথা দিল্লিতে ঘরোয়া বৈঠকে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে জানিয়ে দেওয়া হয়। দলীয় সূত্রে খবর, সেই সময় দিলীপ ঘোষ সুব্রত চট্টোপাধ্যায়ের হয়ে জোরালো সওয়াল করেন। কেন্দ্রীয় নেতাদের হুঁশিয়ারি দিয়ে দিলীপ ঘোষ জানিয়ে দিয়েছিলেন সুব্রত চট্টোপাধ্যায়কে সরিয়ে দেওয়া হলে তিনি পদত্যাগ করবেন। দলের রাজ্য সভাপতির সেই হুঁশিয়ারিতে কান না দিয়েই আজ সুব্রত চট্টোপাধ্যায়কে সরিয়ে দিল কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।
অন্যদিকে সুব্রত চট্টোপাধ্যায়কে সরিয়ে দিতে দ্রুত সমীকরণ বদলাচ্ছে রাজ্য বিজেপিতে। দলের নতুন সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) অমিতাভ চক্রবর্তীকে তড়িঘড়ি স্বাগত জানাচ্ছেন। ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং, বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার সহ একাধিক বিজেপি নেতৃত্ব অমিতাভ চক্রবর্তীকে স্বাগত জানিয়েছেন।