আমাদের ভারত, ১৮ আগস্ট: ভারতে ফিরেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা করলেন শুভাংশু শুক্লা। সোমবার প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে যান তিনি। সেখানে নরেন্দ্র মোদীর হাতে জাতীয় পতাকা তুলে দেন বায়ুসেনার গ্রুপ ক্যাপ্টেন, যেটি মহাকাশে ওড়ানো হয়েছিল। ১৮ দিন মহাকাশে কাটিয়ে পৃথিবীতে আগেই ফিরেছেন শুভাংশু। কয়েকদিন হলো নিজের দেশ ভারতে পা রেখেছেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ কথা বলেন শুভাংশু শুক্লা। মহাকাশে থাকাকালীন বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ ও দুর্দান্ত অভিজ্ঞতার কথা জানান। ব্যাখ্যা করেন কিভাবে তিনি দীর্ঘ সময় ধরে আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্র থেকে মহাকাশ মিশনের দায়িত্ব পালন করেছেন।
দেশপ্রেমে ভরপুর এক আবেগ ঘন মুহূর্তে শুভাংশু প্রধানমন্ত্রীকে উপহার দেন সেই জাতীয় পতাকা, যেটা তিনি নিজে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে নিয়ে গিয়েছিলেন। এই পতাকা দেশের মানব মহাকাশ যাত্রার নতুন যুগে প্রবেশের যে প্রতীক হয়ে উঠল সে কথা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
প্রধানমন্ত্রী এই উপহার গ্রহণ করে শুভাংশুর প্রশংসা করেন। শুধু তাঁর প্রযুক্তিগত সাফল্য নয়, বরং গোটা প্রজন্মকে মহাকাশ নিয়ে স্বপ্ন দেখতে উৎসাহিত করার জন্য তাঁকে কৃতজ্ঞতা জানান।
এই মিশনে বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা সংঘটিত হয়েছে। মানবদেহে মাইক্রোগ্যাভিটির প্রভাব থেকে শুরু করে মহাকাশে কৃষির নতুন প্রযুক্তি সব কিছুরই ভারতের গগণযান প্রকল্পের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।
সোমবার সংসদেও শুভাংশু শুক্লার এই ঐতিহাসিক মিশনকে ঘিরে বিশেষ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছিল। কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং শুভাংশু শুক্লার কৃতিত্ব তুলে ধরেন। তাঁর কথায়, এটি ভারতের মহাকাশ অভিযানের একটি মাইলফলক, যা ভবিষ্যতের মানব মহাকাশযাত্রার স্বপ্ন পূরণে নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছে।
এই বিশেষ আলোচনায় বিরোধীরা অংশ নেননি। তবে কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর তাঁর সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, যেহেতু বিরোধীরা আলোচনায় অংশ নেননি তাই আমি বলতে চাই, কামান্ডার শুভাংশু শুক্লার এই ঐতিহাসিক অভিযানে আমরা সবাই গর্বিত। তাঁর যাত্রা আমাদের গগণযান মানব মহাকাশ কর্মসূচির জন্য একটি বড় পদক্ষেপ। তার অভিজ্ঞতা থেকে যে তথ্য পেয়েছে তা মহাকাশ মিশনকে আরো নিরাপদ ও নিখুঁত করতে সাহায্য করবে।