আমাদের ভারত, কলকাতা, ৪ সেপ্টেম্বর: “অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসংঘের সক্রিয় ভূমিকা ও কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরের মহতী উদ্যোগের ফলপ্রসূ বড় পদক্ষেপ গ্রহণ করল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক।” বৃহস্পতিবার এক্স বার্তা এবং ফেসবুক— দু জায়গায় এই পোস্ট করেছেন পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এই সঙ্গে তিনি যুক্ত করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে পাঠানো সংশ্লিষ্ট চিঠির প্রতিলিপি।
গেজেট বিজ্ঞপ্তি জারি করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক ঘোষণা করেছে যে, ধর্মীয় নিপীড়নের শিকার হয়ে বাংলাদেশ, পাকিস্তান এবং আফগানিস্তান থেকে ভারতে চলে আসা, হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পার্সি এবং খ্রিস্টানদের সিএএ বা নাগরিকত্ব সংশোধন আইনের আওতায় শরণার্থীর মর্যাদা পাওয়ার সময়সীমা বাড়ানো হল ২০২৪-এর ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
শুভেন্দুবাবু এ কথা উল্লেখ করে বৃহস্পতিবার লিখেছেন, মতুয়া মহাসংঘ এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহর দ্বারস্থ হয়ে দরখাস্ত জমা দিয়ে নাগরিকত্ব (সংশোধন) আইন (সিএএ) এর সময়সীমা বাড়ানোর জন্য আবেদন করেছিলেন। এই গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বাংলাদেশ, পাকিস্তান এবং আফগানিস্তানের নিপীড়িত ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের প্রতি সংহতি প্রদর্শনের নিদর্শন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক মানবিকতার সঙ্গে বিবেচনা করে এই ঐতিহাসিক ও সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
আমি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করি ও ধন্যবাদ জানাই মাননীয় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহকে এই ঘোষণার জন্য এবং একই সাথে অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসংঘের সক্রিয় ভূমিকা পালনের জন্য।
প্রসঙ্গত ২০১৯ সালে সিএএ আইন পাস হয়, যার অধীনে ধর্মীয় নিপীড়নের কারণে বাংলাদেশ, পাকিস্তান এবং আফগানিস্তান থেকে পালিয়ে আসা আসা অমুসলিম অভিবাসীদের ভারতীয় নাগরিকত্ব প্রদান করা হবে। আগে ২০১৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছিল শরণার্থীদের আবেদন করার জন্য।
বর্তমানে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক জানিয়েছে যে, তিন প্রতিবেশী দেশের হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পার্সি এবং খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের ব্যক্তিরা যারা ২০২৪-এর ৩১ ডিসেম্বর তারিখে বা তার আগে ভারতে প্রবেশ করেছেন, তাঁদের যদি বৈধ পাসপোর্ট না থাকে, বা যদি বৈধ নথির মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়ে থাকে, তাহলেও তাঁরা সিএএ-এর অধীনে ভারতীয় নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারবেন।