রাজেন রায়, কলকাতা, ১১ ডিসেম্বর: তৃণমূল সরকারের সমস্ত দায়-দায়িত্ব থেকে ইস্তফা দিলেও এখনো নিজের রাজনৈতিক অবস্থান স্পষ্ট করেননি শুভেন্দু অধিকারী। এই পরিস্থিতিতে জেলবন্দি সুদীপ্ত সেনের লেখা চিঠি উল্টে অস্বস্তিতে ফেলেছে তাকেই। ইচ্ছাকৃতভাবে তাকে কালিমালিপ্ত করতে জেল থেকে সুদীপ্ত সেনের নাম করে অথবা প্রভাবশালীদের জোরে সুদীপ্ত সেনকে দিয়ে চিঠি লিখে তা মুখ্যমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হয়েছে। এমনই অভিযোগ তুলে সিবিআই ডিরেক্টরকে চিঠি দিয়ে চিঠির সত্যতা যাচাই করার দাবি তুললেন শুভেন্দু অধিকারী।
প্রসঙ্গত, ১ ডিসেম্বর জেলে বসে সারদার কর্ণধার সুদীপ্ত সেনের একটি চিঠি হাতে আসে সংবাদমাধ্যমের। ওই চিঠিটি পৌঁছে দেওয়া হয়েছিল মুখ্যমন্ত্রী এবং প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে।সেই চিঠিতে দাবি করা হয়েছিল, তিনি সুজন চক্রবর্তীকে ৯ কোটি টাকা, শুভেন্দু অধিকারীকে ৬ কোটি টাকা, অধীর চৌধুরীকে ৬ কোটি টাকা ও বিমান বসুকে ২ কোটি টাকা দিয়েছিলেন। শুধু তাই নয় , সুদীপ্ত ওই তথাকথিত প্রিজনার্স পিটিশনের শেষে এও লিখেছিলেন যে, ‘যাঁরা উচ্চ নৈতিক অবস্থান নিয়ে রয়েছেন, তারা আসলে মানুষকে ঠকিয়েছেন, এখন বিজেপিতে যােগ দিতে চলেছেন।’
এর পাল্টা সিবিআই ডিরেক্টরকে পাঠানো চিঠিতে শুভেন্দুর অভিযােগ, সারদা চিটফান্ড কর্তা সুদীপ্তর ওই চিঠি উদ্দেশ্যপ্রণােদিত। রাজ্য মন্ত্রিসভা থেকে আমার ইস্তফার পরেই ওই চিঠি লেখা এবং মিডিয়ার হাতে তা পৌঁছে দেওয়ার ঘটনাপ্রবাহ দেখেই আমার মনে ঘাের সন্দেহ হচ্ছে। আমার সন্দেহ, অতি প্রভাবশালীদের সঙ্গে জেল কর্তৃপক্ষ যােগসাজশ করে জোর করে সুদীপ্ত সেনকে দিয়ে ওই চিঠি লিখিয়েছে। সুতরাং ওই চিঠি যেন যথাযথ ভাবে তদন্ত করে দেখা হয়।