আমাদের ভারত, উত্তর দিনাজপুর, ৩ মে: লকডাউনের কারনে মেয়ের বিয়ে বন্ধ হয়ে যাওয়ায় চরম সমস্যায় পড়েছে, রায়গঞ্জ ব্লকের কর্নজোড়া এলাকার বারোগন্ডা গ্রামের সুবল দাস। জমায়েত করে কোনও অনুষ্ঠান করা যাবে না। ফলে সুবলবাবু বাধ্য হয়ে তার মেয়ের বিয়ে বন্ধ করে দিলেন। বিয়ের সমস্ত আয়োজন প্রায় শেষের দিকে ছিল। ক্যাটারার, বাজনাদার, প্যান্ডেল সবাইকে বিয়ের জন্য বায়না করে দিয়েছিলেন সুবলবাবু। এমনকি বিয়ের কার্ডও ছাপা হয়ে গিয়েছিল। আত্মীয় পরিজনদের ও পাড়ায় বিয়ের কার্ড বিলি করার সময় ছিল এখন।
সুবল দাসের মেয়ের বিয়ের দিন ছিল চলতি মাসের ৮ মে। রায়গঞ্জ ব্লকের কর্নজোড়া এলাকার বোগ্রামের বাসিন্দা কমলাকান্ত দাসের ছেলে কুমেশ্বর দাসের সাথে সুবলবাবুর মেয়ে শিলা দাসের বিয়ে ঠিক হয়েছিল। লকডাউনের আগের থেকে তাদের বিয়ের তারিখ ঠিক হয়ে গিয়েছিল। করোনা সংক্রমণ রুখতে লকডাউন শুরু হওয়ায় মেয়ের বিয়ে বন্ধ হয়ে যাওয়ায় চরম সমস্যা মুখে পড়তে হল সুবলবাবুকে।
সুবলবাবুর স্ত্রী শিখা দাস জানিয়েছেন, করোনা জন্য লকডাউনের জন্য মেয়ের বিয়ে পিছিয়ে গেল। বিয়ের সমস্ত জোগাড় হয়ে গিয়েছিল। সবাইকে বায়নাও করে দেওয়া হয়েছিল। বিয়ের কার্ড দেওয়া শুরু করার আগেই লকডাউন শুরু হয়ে গেল। তার জন্য মেয়ের বিয়ে বন্ধ করে দিতে হল। যাদেরকে বায়না করা হয়ে ছিল তারা যদি বায়নার টাকা ফেরত না দেয় তাহলে চরম অসুবিধার মধ্যে পড়তে হবে। আগামী অগ্রহায়ণ মাসে মেয়ে বিয়ের তারিখ ঠিক করা হবে। তখনও যদি লকডাউন থাকে তাহলে মেয়ের বিয়ে আবার বন্ধ করে দিতে হবে কারন লকডাউনের জন্য আমাদের আত্মীয়স্বজন কিভাবে আসবে ফলে বিয়ে বন্ধ করে দিতে হবে বলে জানান শিখাদেবী। শিলার বোন সূর্যলেখা দাস জানিয়েছেন, বিয়েতে আনন্দ করতাম কিন্তু বিয়েটা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আমার মন খারাপ হওয়ার চেয়ে দিদির বেশি মন খারাপ হয়ে আছে। কারন দিদির নিজের বিয়ে।