আমাদের ভারত, উত্তর ২৪ পরগণা, ২৯ সেপ্টেম্বর:
গাইঘাটায় করোনা পরিস্থিতির মধ্যে ছাত্র-ছাত্রীরা লরিতে করে সবুজ সাথীর সাইকেল নিতে এসে সাইকেল বোঝাই লরির মধ্যেই গাদাগাদি করে ফিরল জীবনের ঝুকি নিয়ে।দ্রুতগতিতে ছোটা গাড়িতে অসুস্থ হয়ে পড়ল ছাত্রী। নেই শিক্ষক বা অভিভাবক।
উত্তর ২৪ পরগনা গাইঘাটার থানার জয়তারা কবিগুরুর বিদ্যামন্দিরের ছাত্র-ছাত্রীদেরকে সবুজ সাথীর সাইকেল আনবার জন্য মঙ্গলবার গাইঘাটার কিষাণ মান্ডিতে নিয়ে যাওয়া হয়। স্কুল শিক্ষকদের উপস্থিতিতে সেখান থেকে লরিতে সাইকেল বোঝাই করে সেই লরিতেই ছাত্র ছাত্রীদের উঠতে বলে। লরিতে নেই কোনও শিক্ষক নেই কোনও অভিভাবক। দ্রুতগতিতে যশোর রোড দিয়ে ছুটল লরি। তারমধ্যেই অসুস্থ হয়ে পড়ল মারিস খাতুন নামে নবম শ্রেণির এক ছাত্রী।
স্থানীয় সাংবাদিকরা দেখে ট্রাক চালককে দাঁড়াতে বলেন, এমনকি চালককে বারবার গাড়িটি আসতে চালাতে অনুরোধ করেন। কে কার কথা শোনে, গাড়ির গতি বাড়িয়ে দেয় চালক।
যদিও এই ঘটনা প্রসঙ্গে স্কুলের প্রধান শিক্ষক পঙ্কজ শীল অভিভাবকদের উপরে দায় চাপিয়ে বলেন, স্কুল থেকে অভিভাবকদের কাছে টোকেন দেওয়া হয়েছিল কিষাণ মান্ডি থেকে অভিভাবকদের উপস্থিতিতে কোভিড প্রটোকল মেনে সাইকেল তুলে দেওয়া হয়েছে।পরবর্তীতে অভিভাবকরা সঙ্গে ছিল কি না সেটা আমাদের জানা নেই। ছাত্র-ছাত্রীরা বাড়িতে ফিরল কি না সে ব্যাপারে কোনও খোঁজ নেইনি স্কুল কর্তৃপক্ষ।
গাইঘাটা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি গোবিন্দ দাস বলেন, স্কুল কর্তৃপক্ষ এবং অভিভাবক উভয়ের গাফিলতি ছিল। স্কুল কর্তৃপক্ষের আরেকটু দায়িত্বশীল হওয়া উচিত ছিল।