আমাদের ভারত, উত্তর ২৪ পরগনা, ১৮ ফেব্রুয়ারি:
স্কুল শিক্ষকদের দুর্ব্যবহারে আত্মঘাতী ছাত্রী। এমনই অভিযোগ উঠল উত্তর ২৪ পরগণার গাইঘাটা থানার আংরাইল বিদ্যামন্দির উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার এই ঘটনা ঘিরে উত্তেজনার সৃষ্টি হয় বিদ্যালয়ে। মাধ্যমিক পরীক্ষা চলাকালীন স্কুলের সামনে বসে বিক্ষোভ দেখান পড়ুয়ারা। মৃত ছাত্রীর নাম রীমা মণ্ডল। আংরাইল বিদ্যামন্দির উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের একাদশ শ্রেণির পড়ুয়া রীমা। অভিযোগ, সোমবার স্কুলের শিক্ষকেরা তার অভিভাবকের সমানে রিমাকে কি এমন বলেছে যার কারণে সে বাড়ি গিয়ে স্কুল ড্রেস পরা অবস্থায় গলায় কাপড় জড়িয়ে আত্মহত্যা করেছে। মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানতে চেয়ে মঙ্গলবার দুপুরে স্কুলের সামনে বসে পড়ে একাদশ শ্রেণির পড়ুয়ারা।
স্থানীয় সূত্রের খবর, সোমবার সকালে ছাত্রী রীমা মণ্ডলের মা প্রতিবেশী সমরেশ বসু নামে এক যুবকের কাছে জানতে পারে তার মেয়ে রীমাকে স্কুল থেকে টিসি দিয়েছে। সেই শুনে রীমার মা স্কুলে আসে। রীমাকে নিয়ে শিক্ষকদের রুমে যায়। তার পরে শিক্ষক রুম থেকে রীমা কাঁদতে কাঁদতে বেড়িয়ে যায়। বাড়ি গিয়ে স্কুল ইউনিফর্ম পরা অবস্থায় গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে। বিক্ষোভকারী পড়ুয়াদের দাবি, স্কুলের শিক্ষকরা রীমাকে কি এমন বলেছে, যার কারণে সে আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছে। তারা রীমার মৃত্যুর কারণ জানতে চেয়ে স্কুলের সামনের রাস্তায় প্লাকার্ড ও তার ছবি হাতে নিয়ে বসে পড়ে। তাদের আরও অভিযোগ, এর আগেও কয়েকজন পড়ুয়া শিক্ষকদের ব্যাবহারে আত্মহত্যা করেছে।
ছাত্রী অঙ্কনা কৃর্তনীয়া, নিহা রায়, দেবাশিষ গুহ বলে, এই স্কুলের প্রধান শিক্ষক থেকে স্কুল কমিটির সভাপতি ও শিক্ষিকাদের ব্যবহার মোটেই ভাল না। এর আগেও অনেক ছাত্রী শিক্ষক শিক্ষিকাদের ব্যবহারে হয় স্কুল ছেড়েছে, না হয় আত্মহাত্যা করেছে। বিক্ষোভকারীদের দাবি, কি কারণে রীমার অভিভাবককে স্কুলে আসতে হল শিক্ষক রুমে ডেকে নিয়ে গিয়ে তাঁদেরকে কি এমন? বলা হয়েছে যে রীমা বাড়ি গিয়ে আত্মহত্যা করল?
এই বিষয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষক বাসুদেব ঘোষ সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বলেন, গাইঘাটা থানার আংরাইল এই এলাকা আত্মহত্যা প্রবন এলাকা। পারিবারিক সামান্য অশান্তিতেই ছেলে মেয়েরা আত্মহত্যা করে। এই ভাবে অনেক পরিবারে মা নুষ জড়িয়ে পড়েছে। যদিও প্রকৃত সদুত্তর দেয় নি স্কুলের প্রধান শিক্ষক।