আমাদের ভারত, বালুরঘাট, ১৬ জানুয়ারি: পুলিশি নিষ্ক্রীয়তায় ফের স্কুল ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনা কুমারগঞ্জে। গণধর্ষণ করে নৃশংস খুনের ঘটনার কান্ডে চার্জশিট জমা না হতেই ফের ধর্ষণের ঘটনায় উত্তেজনা। অধরা মূল অভিযুক্ত। পুলিশের ভূমিকায় ক্ষোভ। জেলা শাসকের বদলির দাবি সাংসদের। বুধবার দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কুমারগঞ্জ ব্লকের উত্তর রসুলপুরের দাসপাড়া এলাকার ঘটনা। বিষয়টি জানিয়ে আক্রান্ত ছাত্রীর পরিবারের তরফে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে কুমারগঞ্জ থানায়। ঘটনার চব্বিশ ঘন্টা পরেও পুলিশ মূল অভিযুক্ত সোনামন দাসকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। এই ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ উগড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, কুমারগঞ্জের আঙিনার উত্তর রসুলপুরের দাসপাড়ার বাসিন্দা দিনমজুর পরিবারের মেয়ে ওই স্কুল ছাত্রী। স্থানীয় একটি এমএসকে বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়াশোনা করে। বুধবার সকাল সাড়ে এগারোটা নাগাদ বাড়ির সামনে রোদে বসে থাকার সময় সুযোগ বুঝে প্রতিবেশী সোনামন দাস ওই ছাত্রীর মুখে গামছা বেঁধে তাকে তুলে নিয়ে যায়। ছাত্রীর বাড়ির পাশের একটি পুকুর পাড়ে নির্জন স্থানে জঙ্গলের মধ্যে তাঁকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। ঘটনায় ছাত্রীর চিৎকার চেঁচামেচি শুনে স্থানীয় বাসিন্দারা ছুটে আসতেই অভিযুক্ত ওই ব্যক্তি পালিয়ে যায় সেখান থেকে।
স্কুল ছাত্রীর পরিবারের লোকেরা জানান ঘটনার পরেই থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্তর ফাঁসির সাজা চান তারা।
সাংসদ সুকান্ত মজুমদার জানিয়েছেন, শুধু কুমারগঞ্জ পুলিশ নয়, রাজ্য জুড়ে প্রশাসনিক ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। পুলিশি ব্যর্থতার কারণেই আগের ঘটনায় এখনো চার্জশিট জমা পড়েনি আদালতে। তার মাঝেই ফের ধর্ষণের ঘটনায় পুলিশের দুর্বল দিকই সামনে উঠে এসেছে। এমন সব কারণেই দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা শাসকের বদলির দাবি করেছেন তিনি।
কুমারগঞ্জ থানার ওসি সঞ্জয় মুখার্জি জানিয়েছেন, অভিযোগ পেয়েই ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে।